শেরপুরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় ইসমাইল হোসেন নামে একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ একমাত্র আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া ইসমাইলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইসমাইল ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার চরগোরকপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এক সন্তানের জনক।
জোড়া খুনের মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা দায়রা আদালতের পিপি চন্দন কুমার পাল। তিনি জানান, ইসমাইল হোসেন নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি এলাকার ২৫ বছর বয়সী বিলকিস আক্তারকে বিয়ে করেন। স্বামী-স্ত্রী তাদের একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিলকিস সন্তানকে নিয়ে ভাই আব্দুল খালেকের বাড়িতে বেড়াতে যান। ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ইসমাইলও সেই বাড়িতে গেলে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে স্ত্রী বিলকিস আক্তারের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়।
এক পর্যায়ে ধারাল দা দিয়ে স্ত্রীকে কোপান। বিলকিসের চিৎকারে তার মা ৫০ বছর বয়সী খালেদা বেগম, মামা নুরুল আমিন, দাদা কুদ্দুস মিয়া ও চাচি সেলিমা বেগম অজুফা এগিয়ে এলে তাদেরও কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন ইসমাইল।
এ অবস্থায় আশপাশের লোকজন ইসমাইলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
অপরদিকে ইসমাইলের স্ত্রী-শাশুড়িসহ আহত পাঁচজনকে প্রথমে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরদিন বিলকিস আক্তার মারা যান। এরপর তার শাশুড়িসহ চারজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুদিন পর শাশুড়িও মারা যান।
এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিলকিস আক্তারের বড় ভাই আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ইসমাইল হোসেনকে একমাত্র আসামি করে নালিতাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন।
এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী জাহিদুল হক আধার জানান, রায়ের বিষয়ে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।