পটুয়াখালীর বাউফলে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের সঙ্গে সালাদ না দেয়াকে কেন্দ্র করে বর ও কনে পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামে মঙ্গলবার শেষ বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। সামান্য সালাদ না দেয়ার কারণে এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল এটা আসলে কারো কাম্য নয়।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুম্ভখালী গ্রামের মো. নিজাম মিয়ার ছেলে মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে একই গ্রামের বকু ফকিরের মেয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
মঙ্গলবার ছেলেপক্ষ বরযাত্রী নিয়ে মেয়ের বাড়ির অনুষ্ঠানে যায়। এ সময় খাবার টেবিলে মাছ, মাংস, পোলাও দিলেও সেখানে সালাদ দেয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে মেয়েপক্ষের সঙ্গে ছেলেপক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোঠা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হন।
পরে বাড়ির আশপাশের লোকজন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং সেখান থেকে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুইজনকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মিরাজুল ইসলাম জানান, আহতদের মধ্যে মতি হাওলাদার, জিসান, খালেক হাওলাদার, ফিরোজ, সালেহা, মালেকসহ সাতজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া রফিক ও মিজানকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে বগা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মিজান নিশ্চিত করেছেন।
বগা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. সোহেল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ দেননি।