চাকরি দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে রাজধানীতে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সেগুনবাগিচার একটি অফিসে নির্যাতনের শিকার হন ৪০ বছর বয়সী ওই নারী। অসুস্থ অবস্থায় তাকে পরে রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান-ষ্টপ-ক্রাইসিস-সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
তবে ঘরে প্যারালাইসড স্বামী ও ছোট দুই সন্তান থাকায় তাদের দেখভাল করার জন্য এ নারী হাসপাতাল ছেড়ে যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী নারী জানান, দুই থেকে তিন মাস আগে হাইকোর্ট মাজারে কাজী মামুনুর রশীদ নামে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তখন তিনি তার পরিবারের অসচ্ছলতা ও স্বামীর অসুস্থতার কথা জানালে ওই ব্যক্তি তাকে চাকরির প্রস্তাব দেন এবং ফোন নম্বর নেন।
তিনি জানান, চাকরি দেয়ার কথা বলে ওই ব্যক্তি মঙ্গলবার দুপুরে ফোনে তাকে ডেকে নেন এবং চাকরির প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। তিনি রাজি না হওয়ায় জোর করে তাকে ধর্ষণ করেন মামুনুর রশীদ। বিষয়টি গোপন রাখার জন্য প্রথমে টাকা ও পরে কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী নারা জানান, পরে তিনি নিজে নিজেই সেখান থেকে বের হয়ে যান। এরপর স্বজনদেরকে ফোনে বিষয়টি জানালে তারা রাস্তা থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঘটনার বিষয় জানতে অভিযুক্ত ব্যক্তির মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী নারীর চিকিৎসা ও আইনি কার্যক্রম দেখভালের জন্য ঢাকা মেডিক্যালে যাওয়া রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ রাব্বানী মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে নিউজবাংলাকে বলেন, উনারা (ভুক্তভোগী ও তার আত্মীয়-স্বজন) তো এখন থানায়। স্যারের সঙ্গে কথা বলছেন।
মামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাই হয়নি। তারা যখন থানায় অভিযোগ নিয়ে আসছিলেন তখন আমি তাদের নিয়ে ঢাকা মেডিক্যালে গিয়েছিলাম। সব কার্যক্রম শেষে ওসিসিতে নিয়ে জানানো হলো সেখানে তিন-চার দিন থাকতে হবে। কিন্তু তিনি থাকবেন না।
এসআই বলেন, ওই নারী হাসপাতালে লিখিত দিয়ে এসেছেন যে, তিনি ওসিসিতে থাকবেন না। পরে তাদের থানায় নিয়ে এসেছি।
ওসিসিতে ভর্তি না হলে আলামত নষ্ট হয়ে যাবে, তারপরও কেন তিনি ভর্তি হতে চাচ্ছেন না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি তাকে ওসিসিতে নেয়ার জন্য। কিন্তু তিনি যাবেন না। তিনি লিখিত দিয়ে আসছেন ওসিসিতে, তিনি ভর্তি না হওয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এইটাই তো কথা। শতবার বুঝিয়েছি, কিন্তু ওই নারী থাকবেন না।
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে কি থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে আনা হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাই তো হয়নি। আনবো কীভাবে। তাকে তো পাই নাই।