ফেনীর সোনাগাজীতে আপন চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. সিরাজুল ইসলামকে ১৯ বছর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
মঙ্গলবার ভোরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান র্যাব-৭ ফেনীর কোম্পানি কমান্ডার মো. সাদিকুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত সিরাজুল ইসলাম ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর সাহাভিকারী গ্রামের মৃত আহছান উল্লাহ’র ছেলে।
র্যাব জানায়, পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ-বণ্টন আপন চাচার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল মো. শহীদুল্লার। বিরোধের জের ধরে ২০০৪ সালের ২৮ মে শহীদুল্লা ও তার দুই ভাইয়ের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা। ওই ঘটনার মারাত্মক জখম হলে স্থানীয়রা শহীদুল্লা ও তার দুই ভাইকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মো. শহীদুল্লা।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় ৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি মো. সিরাজুল ইসলাম আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান। এর মধ্যেই আদালত ২০১২ সালে মামলায় আসামি সিরাজুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় অবস্থান করছেন সিরাজুল। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের তিনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘ ১৯ বছর নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মনামে আত্মগোপন করেছিলেন তিনি।
ফেনীতে র্যাব–৭-এর কোম্পানী অধিনায়ক মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোনাগাজী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’