বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পোল্ট্রি শিল্পের সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার দাবি খামারিদের

  • প্রতিনিধি, গাজীপুর   
  • ৪ জুলাই, ২০২৩ ২১:৩৫

করপোরেট গ্রুপগুলোর স্বেচ্ছাচারিতায় ডিম ও মুরগির বাজার অস্থির হয়েছে অভিযোগ করে তারা বলেন, ‘যখন খামারিদের মুরগি থাকে, তখন দাম কমিয়ে দেয়। আর যখন খামারিদের মুরগি থাকে না, তখন দাম বাড়িয়ে দেয়।’

পোল্ট্রি খাতের সিন্ডিকেট ভেঙে প্রান্তিক খামারিদের রক্ষা ও প্রোল্ট্রি খাবারের মূল্য কমানোর দাবি উঠেছে।

মঙ্গলবার গাজীপুর শহরের ভোগড়া বাসন সড়ক এলাকায় অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান বক্তারা।

সংগঠনটির গাজীপুর শাখার সভাপতি অনিক সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আশরাফ হোসেন, বিপিএ সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার, বাপ্পী কুমার দে, সৈয়দ মুহাম্মদ আলী প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, ‘প্রান্তিক খামারিদের মাধ্যমে পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশ ঘটলেও এখন এ শিল্প গুটিকয়েক করপোরেট কোম্পানির হাতে জিম্মি। ২০৩১ সালে এসডিজি অর্জন করে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশে প্রবেশ করতে হলে পোল্ট্রি শিল্পের দিকে সরকারকে নজর দিতে হবে। সরকারের এসডিজি অর্জনের ১৭ ধাপের ৭ ধাপ অর্জন হবে এ পোল্ট্রি শিল্পের ম্যাধ্যমে। আর এসডিজি লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে গুটিকয়েক করপোরেট সিন্ডিকেটের বিষদাঁত ভেঙে দিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ভোক্তা ও সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে হবে।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘দেশে পোল্ট্রি শিল্প নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ পোল্ট্রি সেন্ট্রাল কাউন্সিল তথা প্যারাগন গ্রুপ, ব্রিডার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ কাজি ফার্মস গ্রুপ, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ, নারিশ এগ্রো। এ তিন অ্যাসোসিয়েশন ও কোম্পানি প্রান্তিক খামারিদের নিঃস্ব করে দিয়ে এ খাত নিজেদের দখলে নিচ্ছে। পোল্ট্রি শিল্পের বাজার ব্যবস্থা এরা যা চায়, পোল্ট্রি শিল্পে তা’ই হয়।

‘তাদের তৈরি করা তথাকথিত আরও ৪টি অ্যাসোসিয়েশন আছে, যার দ্বারা করপোরেট গ্রুপগুলো তারাই প্রান্তিক খামারি ও তারাই কোম্পানি সেজে মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অফিসে মিটিং করে। সরকারের কাছে থেকে সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন তারা। করপোরেট গ্রুপ খামারি ও ডিলারদের কাছ থেকে ব্ল্যাংক চেক নিয়ে জিম্মি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে।’

তারা বলেন, ‘তারা যে বাজার সিন্ডিকেট করে, তার প্রমাণ- ডিম-মুরগির অযৌক্তিক দাম বাড়িয়ে ২০২২ সালের আগস্টে ১৫ দিনে ৫১৮ কোটি টাকা এবং ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ৫২ দিনে ৯৩৬ কোটি টাকা বাজার থেকে লোপাট করে নিয়েছে।

‘প্রান্তিক খামারিদের এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। করপোরেট গ্রুপ বাজার নিয়ন্ত্রণ করায় সেই মুরগি বিক্রয় করতে হয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। প্রতি কেজি মুরগিতে লস হয়েছে ৪০ টাকা।’

করপোরেট গ্রুপগুলোর স্বেচ্ছাচারিতায় ডিম ও মুরগির বাজার অস্থির হয়েছে অবিযোগ করে তারা বলেন, ‘যখন খামারিদের মুরগি থাকে, তখন দাম কমিয়ে দেয়। আর যখন খামারিদের মুরগি থাকে না, তখন দাম বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া ভুট্টার দাম যখন ৪১ টাকা ছিল, তখন ৫০ কেজির পোল্ট্রি ফিডের বস্তার দাম ছিল ৩ হাজার ৭৩৫ টাকা। এখন ভুট্টার দাম ২৬ টাকা, অথচ ফিডের দাম হয়েছে ৩ হাজার ৬৫০ টাকা। ভুট্টাসহ সকল পণ্যের দাম কমেছে ১২ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। ফলে ফিড উৎপাদনের খরচ কম হলেও কোম্পানিগুলো ফিডের দাম কমাচ্ছে না।’

অনুষ্ঠানে প্রান্তিক খামারিদের মধ্যে শ্রীপুরের জাহাঙ্গীর আলম, কালিয়াকৈর উপজেলার আমজাদ হোসেন তাদের বক্তব্যে পোল্ট্রি খামারের ফিডের অসহনীয় দাম কমানো ও কোম্পানির সিন্ডিকেট ভেঙে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পুষ্টি রক্ষায় সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

পোল্ট্রি খামারি ও ব্যবসায়ীরা অংশ এ অনুষ্ঠানে গ্রহণ করেন। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিপিএ গাজীপুর শাখার অফিস উদ্বোধন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর