বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতিপক্ষের রামদা’র কোপে ছাত্রলীগ কর্মীর হাত বিচ্ছিন্ন

  • প্রতিবেদক, বরিশাল   
  • ৪ জুলাই, ২০২৩ ১৯:৩৯

আহত রেদোয়ানের খালাতো ভাই খলিল সিকদার বলেন, ‘তারা তাকে জবাই করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু রেদোয়ানের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ও কাছাকাছি থাকা পুলিশে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।’

বরিশালে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রেদোয়ান আহম্মেদ আকন নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীর একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় তানভীর হাওলাদার নবীন নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার গভীর রাতে বরিশাল জিলা স্কুলের পেছনের গেটে ঘটনাটি ঘটে।

২৬ বছর বয়সী রেদোয়ান আহম্মেদ আকন রাধো নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকার জয়নাল আবেদীন আকনের ছেলে। তিনি ছাত্রলীগের কর্মী ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ানের অনুসারী।

আটক ২৪ বছর বয়সী তানভীর হাওলাদার নবীন নগরীর ভাটিখানা সুন্নিয়া মসজিদ এলাকার লিটন হাওলাদারের ছেলে।

মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ান বলেন, ‘রেদোয়ান আমার অনুসারী। শুনেছি, হামলাকারীরা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক রইস আহমেদ মান্নার অনুসারী।’

বিষয়টি আরো যাচাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অসীম।

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে। এর পর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় ব্যবহৃত ধারালো রামদাও উদ্ধার করা হয়েছে।’

এ ঘটনায় রেদেয়ানের বাবা জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা মামুনকে একমাত্র নামধারী ও অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমার ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে সে কারও অনুসারী ছিল কিনা জানি না।

‘সোমবার রাত ৯টার দিকে ছেলেকে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নেয় অজ্ঞাতরা। পরে রাত ১২টার দিকে হাসপাতাল থেকে ফোন করে আমাকে ছেলের দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পর নেয়ায় হাত জোড়া দেয়া যায়নি। বর্তমানে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে। এখনো রক্ত ঝরছে। তার অবস্থা বেশি ভালো নয়।’

মামলার লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৩০ বছর বয়সী আসামি মামুন রেদোয়ানের পূর্ব পরিচিত। মামুনের সঙ্গে তার পূর্ব বিরোধ রয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে ফোন করে আসামি জিলা স্কুলের পিছনে গেটে যেতে বলে। সেখানে রাত ১১টায় পৌঁছালে মামুনসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জন রেদোয়ানকে মারধর করে। পরে তারা রেদোয়ানের বাম হাত টেনে ধরলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কনুইয়ের ওপরের অংশ বিচ্ছিন্ন করে মামুন। অচেতন হওয়ার আগে মামুনসহ কয়েকজনের নাম জানিয়েছে রেদোয়ান।

হাসপাতালে রেদোয়ানের সঙ্গে থাকা তার খালাতো ভাই খলিল সিকদার বলেন, ‘পাঁচ-ছয় বছর আগে মামুনকে মারধর করেছিল রেদোয়ান। এ নিয়ে সেসময় দুজনের মদ্যে শত্রুতা হলেও পরে তা মিটে যায়। তারা একসঙ্গেই চলত। মামুনের ফোন পেয়েই জিলা স্কুলের পেছনের গেটে গিয়েছিল রেদোয়ান। সেখানে যাওয়ার পর অজ্ঞাত কয়েকজন এসে তাকে ঘিরে ধরে। তারা রেদেয়ানকে মারধর করে হাত কেটে ফেলেছে।

‘তারা তাকে জবাই করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু রেদোয়ানের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ও কাছাকাছি থাকা পুলিশে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।’

খলিল জানান, রেদোয়ানের হাত আর জোড়া লাগানো যাবে না; তাই বাদ দিয়েছেন চিকিৎসক।

হামলাকারীদের রাজনৈতিক কোনো পরিচয় আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি ‘না’ সূচক জবাব দেন। বলেন, ‘রেদোয়ান সুস্থ হলে তার কাছ থেকে জেনে জানাতে পারব।’

এ বিভাগের আরো খবর