জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর সহযোগী নয়নকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের মধ্য ধাতুয়াকান্দা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি সোহেল রানা জানান, সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রত্যক্ষভাবে নয়ন মিয়ার সম্পৃক্ততা কথা জানা গেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে মধ্য ধাতুয়াকান্দার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাংবাদিক নাদিম হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু, মনিরুজ্জামান মনির ও রেজাউল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার এজাহারভুক্ত ২২ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচজনকে।
নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, ‘মামলার এজাহারভুক্ত ১৭ আসামি বাইরে থাকায় আমার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। দ্রুত সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে।’
গত ১৪ জুন পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ মোড়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম। প্রথমে তাকে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন সকালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জনের নামে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
নাদিম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের পশ্চিমপাড়া এলাকায় থাকতেন।