কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে সুনামগঞ্জের সুরমা, যাদুকাটা, রক্তি, পাটলাই, খাসিয়ামারা, চলতি, বৌলাই, নলজুরসহ সবক’টি নদীর পানি বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এ অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সুনামগঞ্জে গত পাঁচদিন যাবৎ নেই রোদের দেখা। ইতোমধ্যেই সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, শান্তিগঞ্জ, মধ্যনগরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উজানের ঢলের পানিতে ডুবে গেছে নিচু সড়ক।
বন্যায় সদরের সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। নিম্নাঞ্চলে চলাচলের জন্য অনেকেই ব্যবহার করছেন নৌকা।
সোমবার দুপুর ২টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, সুনামগঞ্জের ছয়টি পয়েন্টের সবক’টি পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় পানি বেড়েছে। সুনামগঞ্জ জেলার ৬টি পয়েন্টের মধ্যে ৩টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছাতকে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার ও দিরাইয়ে নলজুর নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া বিশ্বম্ভরপুরের যাদুকাটা নদী ৩১ সেন্টিমিটার বেড়ে ১১৪ সেন্টিমিটার, জগন্নাথপুরের নলজুর নদী ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে ৬৮০ সেন্টিমিটার ও তাহিরপুরের পাটনাই নদী ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে ৬৭৯ সেন্টিমিটার হয়ে তীব্র বেড়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মো. মামুন হাওলাদার বলেন, ‘সুনামগঞ্জে আরো ২৪ ঘন্টা বৃষ্টিপাত হবে। বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হতে পারে। তবে ৪৮ ঘন্টা পর আবহাওয়া আবার স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’