রাজধানীর ফার্মগেটের সেজান পয়েন্টের সামনে ছুরিকাঘাতে ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদার নিহতের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ।
কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদার হত্যায় তিন ছিনতাইকারী সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছে ডিএমপি। তারা হলেন রাব্বি, লিটন ও কামরুল।
সোমবার দুপুরে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন। এসময় কনস্টেবল মনিরুজ্জামান কীভাবে ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়েন, সে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
মনিরুজ্জামানের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার দিন ভোরে কনস্টেবল মনিরুজ্জামান শেরপুর থেকে বাসে করে ঢাকায় ফেরেন। ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার আগে তিনি ফার্মগেটে রাস্তা পারাপার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় তিন ছিনতাইকারীদের মধ্যে একজন প্রথমে কনস্টেবল মনিরুজ্জামানের রাস্তা অবরোধ করে এবং তার কাছে মানিব্যাগ চায়।
‘মনিরুজ্জামান মানিব্যাগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ছিনতাইকারী তিনজন হওয়ায় তিনি তাদের সঙ্গে পেরে ওঠেননি। ছিনতাইকারীরা তখন তার শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাত করে তার মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তারা পশ্চিম দিক দিয়ে পালিয়ে মোহাম্মদপুর গিয়ে পৃথক হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘কনস্টেবল মনিরুজ্জামানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ ছিনতাইকারীকে গত ৪৮ ঘণ্টায় আমরা গ্রেপ্তার করেছি। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও আমরা জব্দ করতে সক্ষম হয়েছি। এ ঘটনায় আরও কিছু কাজ আমাদের বাকি রয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের সরাসরি যারা জড়িত তাদেরকে আমরা গ্রেপ্তার করতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কনস্টেবল মনিরুজ্জামান খুব সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি এমনকি প্রভিডেন্ট ফান্ডের ইন্টারেস্টের টাকাও নিতেন না। তাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি, বাংলাদেশ পুলিশে এ ধরনের কনস্টেবল আছে। তার বয়স মাত্র ৪০ বছর, এই সময় তাকে আমরা হারানোটা সত্যিই দুঃখজনক।’