নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের জলাবদ্ধতা না কমলে ময়লা পানিতে গলা পর্যন্ত নেমে দাঁড়িয়ে থাকার ঘোষাণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
ডিসেম্বরের মধ্যে ডিএনডি খাল সংস্কার প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে তাগিদ দেন তিনি।
ওই সব এলাকায় আকস্মিক জলাবদ্ধতা বেড়ে যাওয়ায় রোববার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে কেন্দ্রীয় পানি শোধানাধার এলাকায় ডিএনডি প্রকল্পের সংস্কারকাজের অগ্রগতি ও মানুষের দুর্ভোগ পরিদর্শনে আসেন শামীম ওসমান।
এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার মাইনুর রহমান ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর নাজমুল হাসানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘এখানে অতিবৃষ্টির কারণে পানি জমে বড় একটি সমস্যা হয়েছে। রাতের মধ্যে এ পানি নেমে যাওয়ার কথা। যদি আমাদের প্রত্যশা পূরণ না হয়, তাহলে যেখানে পানি থাকবে সেখানে গিয়ে ময়লা পানিতে গলা পর্যন্ত নেমে দাঁড়িয়ে থাকব।’
‘পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশিষ্টদের বলতে চাই ওয়াদা করছি, যেখানে সবচেয়ে বেশি ময়লা পানি সেখানে গলা পর্যন্ত নেমে দাঁড়িয়ে থাকব। কারণ, আমার কাজ হচ্ছে জনগণের পক্ষে কথা বলা। আমি তো একলা পানি সেচে নিতে পারব না।’
তিনি আরও বলেন, গত তিন দিনের সামান্য বৃষ্টিতে ডিএনডি (ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, ডেমরা) বাঁধের ভেতরে বসবাসকারী ৩০ লাখ মানুষ পানিবন্দী। এ প্রকল্পের কাজ দুই বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ছয় বছরেও শেষ হয়নি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ না হলে জনগণকে নিয়ে আন্দোলন শুরু হবে।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় ডিএনডি প্রকল্পের সঙ্গে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। যদি পানি খালে না যায়, তাহলে কোথায় যাবে।’
পরে সাংবাদিকদের ডিএনডির প্রকল্প পরিচালক খন্দকার মাইনুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ শেষ করতে আগামী জুন মাস পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করার চেষ্টা চলছে। কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে আজ বিকেল নাগদ পানি সেচে কমিয়ে আনা হবে।’