সিলেটে কাঁচামরিচের দাম এক হাজার টাকা ছুঁইয়েছে। শনিবার খুচরা বাজারে হাজার টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বিক্রেতাদের দাবি, তাদেরও দাম দিয়ে কিনে আনতে হচ্ছে।
আর ক্রেতারা বলছেন, এক কেজি কাঁচামরিচের দামে এক কেজি খাসির মাংস কেনা সম্ভব।
সিলেটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহখানেক ধরে কাঁচামরিচের দাম বেড়েই চলছে। এর মধ্যে, ঈদের আগের দিন থেকে খুচরা বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ১ হাজার টাকায় পৌঁছায়। কিন্তু ১০ দিন আগেও কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে পাইকারি বাজারে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে।
সিলেটের আম্বরখানা এলাকার বাসিন্দা মাসুম আহমদ বলেন, ‘কাঁচামরিচে তো এখন হাত দেয়ার উপায় নেই। হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। জীবনে কখনও কাঁচামরিচের এত দাম দেখিনি। বাধ্য হয়ে তাই শুকনো মরিচ কিনেছি।’
নগরের দক্ষিণ সুমার চাকরিজীবী কয়েস আহমদ বলেন, ‘মরিচের যে দাম এখন আর কেজি হিসেবে কেনা সম্ভব নয়। এক কেজি কাঁচামরিচের দামে এখন এক কেজি খাসির মাংস পাওয়া যাচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে আজকে ১০০ গ্রাম মরিচ কিনেছি। এগুলো ঘ্রাণ শুকেই এখন খেতে হবে।’
বন্দর বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী জানান, তিনি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ মণ কাঁচামরিচ বিক্রি করেন। শনিবার তিনি ১০ কেজি মরিচও কিনতে পারেননি। যা পেয়েছেন, তা এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
আম্বরখানা কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতা মজিবর রহমান প্রতি কেজি এক হাজার টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন জানিয়ে বলেন, ‘পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে গেছে। এজন্য খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে গেছে।’
সুবহানীঘাট কাঁচাবাজারের আড়তদার আতিক মিয়া বলেন, ‘কাঁচামরিচ সিলেটে চাষাবাদ হয় না। এখানকার বাজারে যে কাঁচামরিচ পাওয়া যায়, সবই সিলেটের বাহিরে থেকে নিয়ে আসা হয়। বেশিরভাগ মরিচ আসে বগুড়া থেকে। সেখানে দাম বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে সিলেটের বাজারে।’
সুবহানীঘাটস্থ কাঁচাবাজার ট্রেড সেন্টার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমদ বলেন, ‘ঈদের আগ থেকেই কাঁচামরিচের দাম চড়া ছিল। আর ঈদের সময় সরবরাহ কম থাকায় খুচরা বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসলে শিগগিরই দাম কমে আসবে।’
সারা দেশেই কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে জানিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘তারপরও কেউ বাড়তি দাম রাখছে কি না তা আমরা খেয়াল রাখব।’