বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভুয়া টিকিট-ভিসায় কাতার পাঠানোর প্রতারণা, গ্রেপ্তার ২

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১ জুলাই, ২০২৩ ২০:৫১

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, আইরিনকে তার পাসপোর্ট এবং ভুয়া টিকিট বুঝিয়ে দিয়ে টাকা দাবি করলে, এ সময় সাদা পোশাকে নজর রাখা এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে।  

সিরাজগঞ্জের একজন দিনমজুরের স্ত্রীকে কাতারে গৃহকর্মী হিসেবে পাঠানোর কথা বলে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রবিন খন্দকার এবং শান্ত কালু।

শুক্রবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে তাদের প্রথমে আটক করে এপিবিএনের গোয়েন্দা দল। পরে এ ঘটনায় মোট চারজনকে আসামি করে বিমান বন্দর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। সেই মামলায় রবিন ও শান্তকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করে এপিবিএন।

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সিরাজগঞ্জের একজন গৃহবধূ মোসা. আইরিন খাতুন তার গ্রামের একজন ব্যক্তির কাছ থেকে গৃহকর্মী হিসেবে কাতার যাওয়ার ভিসা পান। এরপর তিনি গৃহকর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণের জন্য টাংগাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) যান। এ সময় সেখানে ভুক্তভোগীর পরিচয় হয় তারেকুজ্জামান রাকিবের সঙ্গে। রাকিব টিটিসির সামনে কম্পিউটার ও ফটোকপির ব্যবসা করেন।

এ সময় রাকিব ভুক্তভোগীকে বলেন, বয়স কম হওয়ায় অভিযোগকারী নারী কাতার যেতে পারবেন না। এ ছাড়াও তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে বলেও তিনি ভুক্তভোগীকে ভয় দেখান। ওই সময় রাকিব ভুক্তভোগী নারীকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিদেশ পাঠানোর প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে আইরিন রাজি হয়ে রাকিব এবং শিপনকে কয়েক দফায় ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা দেন। এ সময় অভিযুক্তরা আইরিনকে বারবার ফ্লাইট ডেট দিচ্ছিলেন।

তিনি আরও জানান, এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে বিদেশ পাঠাবেন বলে গত ১২ জুন ও ১৪ জুন তারিখে এয়ারপোর্টে আসতে বলে তারা গা ঢাকা দেন। আইরিন বারবার ফোন করলেও তারা এয়ারপোর্টে কন্ট্রাক্ট অফিসারের ডিউটি নাই বলে তাকে ফিরে যেতে বলেন। আইরিন বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন। এসময় উপায় না দেখে তিনি এপিবিএনের অফিসে অভিযোগ করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, অভিযোগ পেয়ে আসামিদের গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন। এসময় আইরিনের মাধ্যমে রাকিব এবং শিপনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা আইরিনকে ফ্লাইট করে দেয়ার আশ্বাস দেন৷ এসময় আইরিনকে শুক্রবার এয়ারপোর্টে এসে তার পাসপোর্ট ও টিকিট নিয়ে যেতে বলেন রাকিব। রাকিব ও শিপন আইরিনকে বিমানবন্দরে আসতে বললেও দেখা না করে তাদের চক্রেরই আরও দুই সদস্যকে বিমানবন্দরে পাঠান এবং আইরিনের কাছ থেকে আরও ৩০ হাজার টাকা আদায় করতে বলেন।

তিনি আরও জানান, এই টাকা নেয়ার উদ্দেশ্যেই রবিন খন্দকার এবং শান্ত কালু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গোল চত্ত্বর এলাকার বাইরে চায়ের দোকানে আইরিনের সঙ্গে দেখা করেন। আইরিনকে তার পাসপোর্ট এবং ভুয়া টিকিট বুঝিয়ে দিয়ে টাকা দাবি করলে, এ সময় সাদা পোশাকে নজর রাখা এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে।

রবিন, শান্ত, রাকিব, সিপনকে আসামি করে ভুক্তভোগী নারী বিমান বন্দর থানায় মামলা করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর