ভোলার চরফ্যাশনে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর পাঁচ জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আরও দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
মেঘনার দক্ষিণে সাগর মোহনা থেকে শুক্রবার দুপুরের দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
প্রাণ হারানো পাঁচ জেলের নাম, পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
সামরাজ ঘাটের আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন পাটোয়ারী ও চরফ্যাশন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গত ২৪ জুন ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ১৩ জেলে। সাগর উত্তপ্ত থাকায় পরদিন ট্রলারটি ডুবে গেলে তারা নিখোঁজ হন।
তাদের মধ্যে দুই জেলে ভেসে এসে বৃহস্পতিবার সকালে মনপুরার একটি চরে পৌঁছান। তাদেরকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর শুক্রবার সকালে আরও চার জেলে চরফ্যাশনে ভেসে আসেন। তাদেরকেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তারা আরও জানান, শুক্রবার ওই ছয় জেলের কাছ থেকে খবর পেয়ে অন্যদের খুঁজতে স্থানীয় জেলে ও আড়তদাররা ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে যান এবং দুপুর ১টার দিকে পাঁচ জেলের মরদেহ উদ্ধার করেন।
ট্রলারে থাকা লোকজন বিষয়টি সবুজ নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে জানালেও নেটওয়ার্ক সমস্যায় এরপর থেকে আর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
চরফ্যাশন থানার পুলিশ পরিদর্শক রিপন কুমার সাহা জানান, মোবাইল ফোনে পাঁচ জেলের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে মরদেহগুলো এখনও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, চিকিৎসাধীন ছয় জেলেকে দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পুলিশ ঘটনার বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে।