গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সরকারি জামি ভোগদখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। একপক্ষ খেলার মাঠ তৈরির জন্য জমিতে বালু ভরাটের কাজ শুরু করেছে, অন্যপক্ষ এলাকার পাট জাগ (পঁচানো) দেবার জন্য জায়গাটি জলাশয় রাখার দাবি জানিয়েছে।
জায়গাটিতে বলু ভরাট বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার (২৭ জুন) মানববন্ধন করে দাসেরহাট, ভ্রমর গ্রাম, খড়িকাইনসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের অর্ধশত মানুষ। জলাভূমি রক্ষার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন মানববন্ধনকারীরা।
মানববন্ধন চলাকালে আবুল খায়ের ফকির, প্রকাশ বিশ্বাস, রাজা কাজী, সুবাস বিশ্বাস ও ইমারত মোল্যা জানান, খড়িকাইন গ্রামের সরকারি খাস জমিতে অবস্থিত এ জলাশয়ে পাট মৌসুমে প্রায় ১০টি গ্রামের কৃষক তাদের পাট জাগ দিয়ে থাকেন। কিন্তু এলাকার সাবেক (ইউপি) মেম্বার আনোয়ার মোল্যা সরকারি খাস জমি দখল করে বালু ভরাট করছেন। এতে পাট মৌসুমে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পাট জাগ দিতে পারবেন না। সময়মত পাট জাগ না দিতে পারলে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা। এ জলাভূমি দখলমুক্ত করতে সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আনোয়ার মোল্যা দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এলাকার ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন মাদক ও মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাদের বাঁচাতে প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কথা বলে এখানে মাঠ তৈরি করছি। যদি গ্রামবাসী না চায়, তাহলে আমি কাজ বন্ধ রাখব। এতে আমার কোন স্বার্থ নেই।’
মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. ইমাম রাজী টুলু বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. রবিউল আলম সিকদার একদিন আলাপ করেছিলেন। কিন্তু মাটি বা বালু ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে বলে আমার জানা নেই। সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’