বৃহস্পতিবার ঈদুল আজহায় সারা দিন বৃষ্টির বিঘ্ন থাকায় স্রষ্টার উদ্দেশে পশু কোরবানি করাতে সমস্যায় পড়েন অনেকে। ঈদের দ্বিতীয় দিনে রোদ্দুরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তারা। তাই শুক্রবার সকালে রোদ বেরোতেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি করছেন অনেকে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কেউ কেউ পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে, আবার অনেকে ঈদের দিন কসাই না পাওয়ায় কোরবানি করেননি। তাই আজ কোরবানি করছেন। কেউ কেউ আবার একাধিক কোরবানির পশু থাকায় প্রথম দিনে একটা দ্বিতীয় দিনে অন্যটা, এভাবে কোরবানির পশু জবাই দিয়েছেন।
কথা বলে জানা যায়, প্রথম দিনেই সাধারণত সবাই কোরবানি করেন। তাই কসাইদের চাহিদা বেশি থাকে। ফলে কসাইদের না পাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা থাকে। এ কারণে দ্বিতীয় দিনে কোরবানি দিতে হয় অনেকের।
এদিন কোরবানি দিতে বেশ কিছু সুবিধাও আছে বলে জানালেন কেউ কেউ।
দ্বিতীয় দিনে কোরবানি দেয়া আহম্মদ আলী নামে একজন বলেন, ‘ঈদের দিন কোরবানি করতে কিছুটা সমস্যা হয়। সবাই ব্যস্ততায় থাকে। সে হিসেবে দ্বিতীয় দিন কিছুটা নিরিবিলি। প্রতি বছরই ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি করি। এবারও সেভাবেই করছি।’
এদিন আরেক কোরবানিদাতা বলেন, ‘আমি প্রতিবছরই খাসি কোরবানি করি। তবে গতকাল ঈদের দিন সামর্থ্যের মধ্যে একটি গরু কিনেছি। তাই গতকাল আর কোরবানি করিনি। আজ কোরবানি করছি।’
বাদল মৃধা নামে একজন বলেন, ‘ঈদের দিন কসাই পাওয়া খুবই কঠিন। তাই ঝামেলামুক্তভাবে ঈদের দ্বিতীয় দিনে গরু কোরবানি করছি।’
‘দ্বিতীয় দিনে কসাইয়ের খরচও কম’ বলে উল্লেখ করে এ কোরবানিদাতা বলেন, ‘ঈদের দিন প্রতিটি গরুর মাংস কাটায় যেখানে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা দেয়া লাগে, দ্বিতীয় দিন ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা দিলেই হয়। এ কারণে দ্বিতীয় দিনে কোরবানি করার সুবিধাও আছে।’
ইসলামি শরীয়ত মতে, কোরবানির পশু জবাই করার সময় থাকে তিন দিন। হিজরি জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি করা যায়। ফলে কোনো কারণে ঈদের দিন কোরবানি করা সম্ভব না হলে, ঈদের পরের দু’দিন, তথা জিলহজের ১১ ও ১২ তারিখ (সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত) কোরবানির পশু জবাই করা যায়।