বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জমে উঠেছে শেরপুরের বিনোদন কেন্দ্রগুলো

  • প্রতিনিধি, শেরপুর   
  • ৩০ জুন, ২০২৩ ১১:০৭

বৃষ্টির কারণে শেরপুরের বড় দুই পর্যটনকেন্দ্র- গজনী অবকাশ ও মধুটিলা ইকোপার্কে না যেতে পারলেও ঈদের দিন জমে ওঠে সদরের শ্যামলী শিশু পার্ক, গোল্ডেন ভ্যালি পার্ক, অর্কিড ও দারোগ আলী পৌর পার্ক।

শেরপুরে বিনোদন প্রেমীদের জন্য রয়েছে বড় বড় দুটি পর্যটনকেন্দ্র- গজনী অবকাশ ও মধুটিলা ইকোপার্ক। কিন্তু ঈদের দিন বৃষ্টির কারণে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে মানুষ না যেতে পারলেও জেলা সদরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমায় তারা। ফলে ঈদের ছুটিতে শ্যামলী শিশু পার্ক, গোল্ডেন ভ্যালি পার্ক, অর্কিড ও দারোগ আলী পৌর পার্ক জমে ওঠে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের দিন বিকেল থেকেই জেলা শহরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। শেরপুরে ঈদের একদিন আগেও ছিল প্রচণ্ড গরম। ঈদের আগের রাত থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। এতে শীতল আবহাওয়ায় প্রাণ জুড়িয়ে যায় মানুষের। তাই এবার বৃষ্টিবিঘ্নিত ঈদ হলেও শান্তিতে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও ঘুরতে পারছে শেরপুরবাসী।

প্রতিবছর গজনী ও মধুটিলা ইকোপার্কে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে। কিন্তু এবার বৃষ্টি বাধায় তা হয়নি। বিনোদন প্রেমীরা তাই ছোটেন শেরপুর সদরের কাছাকাছি বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।

কোরবানির ঈদ হওয়ায় কোরবানির পশুর মাংস কাটা শেষেই বাড়ির বাইরে বের হন সব বয়সের মানুষ। এদিন সারাটা দিনই আকাশ মেঘলা ছিল। এর মাঝেই জেলা সদরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঢল নামে মানুষের। সূর্য পশ্চিমে ঢলতেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের নতুন পোশাকে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় জমান তারা। বিশেষ করে দর্শনার্থীদের রাতের আলোকসজ্জায় আকৃষ্ট করে বেশি। সন্ধ্যার পর বিনোদন প্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে পার্কগুলো।

শেরপুর শহরের শ্যামলী শিশু পার্ক, দারোগ আলী পৌর শিশুপার্ক, গোল্ডেন ভ্যালি পার্ক ও অর্কিডে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসে মানুষ। এসব পার্কে ঘোড়ার গাড়ি, প্যাডেল বোট, নাগরদোলা, ট্রেন, সাম্পান নৌকা, রেল গাড়ি, চরকি ও পুতুল নাচের ব্যবস্থা রয়েছে; রয়েছে গানের তালে তালে পানিতে নেমে গোসল করার সুযোগ।

পৌরশহর থেকে ঘুরতে আসা রাকিবুল আওয়াল পাপুল বলেন, ‘আগে ঈদ এলেই গজনী ও মধুটিলায় ঘুরতে যাইতাম। কিন্তু এবার বৃষ্টির কারণে যেতে পারিনি। তবে শহরের কাছাকাছি বিনোদন কেন্দ্র হয়েছে, তাই কাছাকাছি আসছি। এখানেও অনেক রাইডস আছে বন্ধুবান্ধব মিলে অনেক মজা করলাম।’

সদরের সাগর মিয়া বলেন, ‘শহরের ভেতরে পার্কগুলো অনেক সুন্দর। বৃষ্টির কারণে দুরে কোথাও যাওয়া হবে না মনে হয়। তাই বউকে নিয়ে কাছেই ঘুরতে আসলাম।’

শিশু লাবিবা বলে, ‘আমি মা-বাবার সাথে ঘুরতে এসে অনেক মজা করলাম। অনেক কিছু দেখলাম। অনেক রাইডে উঠলাম। অনেক কিছু খেলাম। খুব ভালো লেগেছে।’

শহরের জুই বলেন, ‘আসলে প্রতি ঈদেই ঘুরতে বের হই। আমরা মেয়ে মানুষ, কাছাকাছি জায়গাতেই বেশি যাওয়া হয়। এ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে রাত পর্যন্ত থাকলেও কোনো সমস্যা নাই। আর রাতে এ জায়গাগুলো আরও বেশি জমে উঠে, আরও বেশি সুন্দর হয়।’

শেরপুর জেলা শহরে আগে তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র ছিল না। তবে সম্প্রতি ব্যক্তি মালিকানায় গড়ে উঠেছে কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্র। এসব বিনোদন কেন্দ্রে ঈদসহ বিভিন্ন দিবসে মানুষ ঘুরে আনন্দ উপভোগ করছে। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা থাকায় দিন থেকে রাত অবধি মানুষ থাকে।

শ্যামলী শিশু পার্ক ও রেঁস্তোরার ম্যানেজার সাহাদৎ হোসেন স্মরন জানান, ঈদে পার্কগুলোতে প্রচুর ভিড়। ঈদে পার্কগুলো তারা নানাভাবে সু-সজ্জিত করেছেন। আগামী এক সপ্তাহ এই ভিড় অব্যহত থাকবে বলে আশা করেন তিনি।

অর্কিডের মালিক আবু সাঈদ বলেন, ‘ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। এবার পর্যটক ভালো আসছে। বিনোদন প্রেমীরা ভালো সাড়া ফেলেছে। আর এমনভাবে আসলে আমাদের এবছর ভালো লাভ হবে।’

ভিন্ন চিত্র বৃষ্টিবিঘ্নিত গজনী অবকাশ কেন্দ্র ও মধুটিলা ইকোপার্কে।

গজনীর রাইডস ইজারাদার ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঈদ সামনে রেখে আমরা রাইডসগুলোকে নতুন রূপে সাজিয়েছি। কিন্তু বৃষ্টির জন্য মানুষ ঘর থেকেই বের হতে পারছে না। বৃষ্টি কমলেই দর্শনার্থীর সমাগম বাড়বে বলে আশা করছি।’

গজনী অবকাশ কেন্দ্রের ইজারাদার ফরিদ আহম্মেদ বলেন, ‘প্রতিবছর ঈদে ভালো লোকজন হয়। কিন্তু এবার বৃষ্টির কারণে লোকজন কম আসছে। আশা করছি, বৃষ্টি কমলে বিনোদন প্রেমীদের সাড়া পাব আর ভালো ব্যবসাও করতে পারব।’

এ বিভাগের আরো খবর