বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পথশিশুদের ঈদ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৯ জুন, ২০২৩ ২২:৩৮

মারুফ বলে, ‘এইবার কেউ জামা দেয় নাই। পুরান জামা পইরা আছি।’

সারা বছর রাস্তায় থাকা, রাত নামলেই ফুটপাতের কোনায় ঘুমিয়ে থাকা পথশিশুদের ঈদ কাটছে রাস্তাতেই।

রাজধানীর জিয়া উদ্যানে দেখা যায়, ছিন্নমূল শিশুরা হেঁটে বেড়াচ্ছে। কেউ নতুন রঙিন জামা পড়ে আবার কেউ পুরোনো জামায়।

টিএসসি এলাকায় রাস্তাতে ঘুমায় বলে জানায় ১১ বছরের জিসান। মা-বা কোথায়, কী করে বা কীভাবে দিন কাটে এসব প্রশ্নে জিসান বলে, ‘বাড়ি বরিশাল, বাবা নাই, মা তো পাগল। তাই ঢাকায় চইল্যা আইছি। কিছুই করি না, চাইয়া খাই, ছাত্ররা খাওন দেয়।’

নতুন জামা কে দিয়েছে জানতে চাইলে জিসান বলে, ‘ভার্সিটির ছাত্ররা।’

জিসানের আশেপাশে ঘুরছিল আরও কয়েকজন শিশু।

কথা হয় সাত বছর বয়সী মারুফের সঙ্গে। কোথায় থাকে জানতে চাইলে পাশেই একটা খালি জায়গা দেখিয়ে বলে ‘ওইহানে খুপরি ঘর বানায়া থাকি আর মালা বেচি।’

ঈদে জামা পেয়েছে কি না এই প্রশ্নে কিছুক্ষণ চুপ থেকে মারুফ বলে, ‘এইবার কেউ জামা দেয় নাই। পুরান জামা পইরা আছি।’

তার সঙ্গে কথা বলার সময় এগিয়ে আসে প্রায় একই বয়সী ইমরান। একটু দূরে তার মা শরবত বিক্রি করছে আর সে মালা বিক্রি করছে।

ইমরানের মা শিল্পী খাতুন নিউজবাংলাকে বলেন ‘আমি লালবাগ এলাকায় থাকি। ছেলেটা এইহানেই থাকে, মালা বেচে। যা কামাই হয় আর কি।’

ইমরানকে স্কুলে দেননি এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মজার স্কুলে পড়ে। ছাত্ররা যে পড়ায় সেইহানে। বাকি সময় ঘোরে ফেরে আর মালা বেচে। আমি মাঝে মইধ্যে দেশের বাড়ি চাঁদপুর থেইকা ঢাকায় আসি। শরবত বেচি।’

কথা হয় আট বছর বয়সী আরেক ইমরানের সঙ্গে। তার মা নেই, বাবার সঙ্গে খুপরি ঘরে থাকে। সেও মালা বিক্রি করে বলে জানায়। ঈদে জামা পায়নি। তবে চোখে মুখে আনন্দের কমতি নেই। যেন এই জীবনের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গেছে তারা।

এ বিভাগের আরো খবর