বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বৃষ্টি উপেক্ষা করে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাত  

  • প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ    
  • ২৯ জুন, ২০২৩ ১৮:৫২

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, ঈদুল আজহার জামাতকে ঘিরে নেয়া হয়েছিল সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির পাশাপাশি সাদা পোশাকে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার স্বার্থে মাঠে আর্চওয়ে, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোন ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, মাইনোকোলার, সিসি ক্যামেরাসহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ ময়দান কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার ১৯৬তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃষ্টিতেও মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল এই ময়দানে। তবে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে মাঠে পানি জমায় অনেকেই নামাজ আদায় করেছেন মাঠের বাহিরের সড়কে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শুরু হয় ঈদের জামাত। জামাতে ইমামতি করেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ।

ঈদগাহ ময়দানে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিশিষ্টজনরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এদিকে জামাতকে ঘিরে নেয়া হয়েছিল চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। র‍্যাব, পুলিশের পাশাপাশি মুসল্লিদের নিরাপত্তায় ছিল দুই প্লাটুন বিজিবি।

এর আগে সকাল থেকে মুসল্লিরা আসতে থাকেন ঈদগাহের দিকে। প্রতি বছর ঈদের জামাতে এখানে লাখো মানুষের ঢল নামে।

দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ভৈরব-ময়মনসিংহ রোডে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল নামে দুটি ট্রেন চালু ছিল।

চরশোলাকিয়া এলাকার বাসিন্দা মশিউর রহমান নাদিম জানান, সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। তারপরেও অনেকেই ছুটে এসেছেন এখানে নামাজ পড়তে। বৃষ্টিতে মাঠে পানি জমায় অনেকেই মাঠ থেকে বেরিয়ে নামাজ আদায় করেছেন পাশ্ববর্তী মসজিদ এবং মাঠের পাশের সড়কে।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, ঈদুল আজহার জামাতকে ঘিরে নেয়া হয়েছিল সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির পাশাপাশি সাদা পোশাকে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার স্বার্থে মাঠে আর্চওয়ে, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোন ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, মাইনোকোলার, সিসি ক্যামেরাসহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।

এ ছাড়াও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ছিল বলেও জানান তিনি।

শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১৯৬তম ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে সকল ব্যবস্থায় নেয়া হয়েছিল। দূরের মুসল্লিদের জন্য ঈদের দিন সকালে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে চলাচল করে দুটি বিশেষ ট্রেন।

ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, এক নারী এবং এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হন। এ জঙ্গি হামলায় পুলিশসহ ১৬ মুসল্লি আহত হন। কিন্তু তারপরও ভাটা পড়েনি ঐতিহাসিক এ ঈদগাহ ময়দানের ঈদের জামাতে মুসল্লিদের সমাগমে।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে একসঙ্গে প্রায় সোয়া লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করেছিলেন। আর তখন থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। পরে এই মাঠ শোলাকিয়া নামে পরিচিতি পায়।

এ বিভাগের আরো খবর