রাত পোহালেই ঈদ। ঈদের আগের দিন বিকেলের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক ফাঁকা হয়েছে।
বুধবার দুপুরের পর থেকে এই মহাসড়কের যানবাহনের চাপ কমতে থাকে। বিকেলে মহাসড়কের রাবনা, রসুলপুর, পৌলি, এলেঙ্গা, হাতিয়া ও সল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কোনো যানজট চোখে পড়েনি। দু-একটি যানবাহন চলাচল করছে।
এর আগে ভোরে সেতুর ওপরে দুর্ঘটনা এবং গাড়ি বিকল হওয়ার কারণে দফায় দফায় টোল আদায় বন্ধ, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও চালকদের বেপরোয়া গাড়ির চালানোর কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ২০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপার থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্লা পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ঘরমুখো মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট কমতে থাকে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘সেতুর ওপর ও মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণে যানজট শুরু হয়। দুপুরের পর থেকে চাপ কমতে থাকে। বর্তমানে মহাসড়কে যানবাহন নেই বললেই চলে।’
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ২৬ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপার হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ হাজার ৪৮৮টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা। ২০২১ সালের ১৩ মে ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৭৫৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। আর এতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ২৪০ টাকা।