ঈদ উদযাপনে সার্বিক নিরাপত্তায় সারা দেশব্যপী গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন।
বুধবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
র্যাব ডিজি বলেন, ‘ঈদে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারা দেশব্যপী গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়নের নিজ নিজ আওতায়ভুক্ত এলাকায় পর্যাপ্ত-সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া র্যাবের পেট্রোল টিম, সিসিটিভি মনিটরিং, চেকপোস্ট, অবজারভেশন পোস্টও দায়িত্ব পালন করবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঈদগাহের মতো দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা রয়েছে, যার মাধ্যমে কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটর করা হবে। এছাড়াও আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড ও হেলিকপ্টার সবসময়ের মতো এবারও প্রস্তুত থাকবে। যাতে যে কোনো পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে তারা সাড়া দিতে পারে।’
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘যারা নাড়ির টানে গ্রামে যারা যাচ্ছেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব। গাবতলীতে গরু মোটাতাজকরণ পশু বিক্রি, অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে অনেককে জরিমানা ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়াও অন্যান্য গরুর হাট ও দেশের অন্যান্য ঈদগাহে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যাবস্থা থাকবে। ইউনিফর্ম ও সিভিল পোশাকে র্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ঢাকামুখী যেসব পশুবাহী গাড়ি আসে, দেখা যায় অনেকসময় চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। এ ব্যপারে আমাদের নজরদারি ছিল। তাই সম্ভবত এ বছর তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। অনলাইনে কেনাকাটায় অনিয়মের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। ফাঁকা ঢাকায় বাসাবাড়ি ও শপিংমলের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক মনিটর করা হবে। তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে ওয়ার্কআউট করা হবে।’
র্যাব প্রধান বলেন, ‘নাশকতার মতো যেকোনো অপতৎপরতার বিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। সাইবার ওয়ার্ল্ডে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আশা করছি, প্রতিবারের মতো এবারও সুন্দর পরিবেশে ঈদ উদযাপিত হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো জঙ্গি হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন থ্রেট (হুমকি) নেই। তবে আমরা সকল পর্যায়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখেছি।’