ঈদুল আজহার আর বাকি এক দিন। এরই মধ্যে প্রায় প্রস্তুত হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ। সবকিছু ঠিক থাকলে প্রতিবারের মতো এবারও রাজধানী ঢাকায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহে। এজন্য প্রস্তুত করা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহকে। এখন চলছে শেষ সময়ের সাজসজ্জার কাজ।
মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহে ঘুরে দেখা যায়, ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা এগারটার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঈদগাহ পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় দেখা যায়, সর্বশেষ প্রস্ততি হিসেবে লাইট, ফ্যান ও মাঠের সীমনা ঘেঁষে সাদা কাপড় টানানোর কাজ চলছে। এ ছাড়া পানি নিষ্কাশনসহ বৃষ্টি হলে মুসল্লিরা যাতে নির্বিগ্নে নামাজ আদায় করতে পারেন সে বিষয়ে দৃষ্টি রেখে কাজ চলছে। পুরো প্যান্ডেল জুড়ে মাইক, বিদ্যুৎ সংযোগ, ফ্যান ও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য পুরো ঈদগাহ জুড়ে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক দৃষ্টি। প্রস্তুত করা হয়েছে সিসি টিভি ও কন্ট্রোল রুম।
২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসাথে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করবেন। এ ছাড়াও ঈদগাহের বাহিরে পুরো এলাকাজুড়ে মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন।
ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশের জন্য ভিআইপি গেট থাকছে একটি। পাশাপাশি জনসাধারণের জন্য একটি এবং মহিলাদের প্রবেশের জন্য আলাদা একটি গেট রাখা হয়েছে।
বরাবরের মত এবারও ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুতের জন্য কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিয়ারু সর্দার অ্যান্ড সন্স ডেকোরেটর।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বলতে পারেন ঈদগাহ ময়দান প্রায় প্রস্তুত। এখন শুধু নিচে কার্পেটিং এবং সাদা চাদর বিছানোর কাজটুকু বাকি আছে। তাছাড়া সব কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করছি বড় ধরনের ঝড়-বৃষ্টি না হলে নামাজ আদায় করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’
একই তথ্য দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তথ্য কর্মকর্তা মো. আবু নাছের।
তিনি জানান, জাতীয় ঈদগাহ মাঠ সজ্জার কাজ প্রায় প্রস্তুত। বলা যায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সকালে মেয়র জাতীয় ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন করেছেন। তিনি কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন সেসব জায়গায় এখন কাজ চলছে। আশা করি বুধবার সকালের আগেই পুরো মাঠ সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে ফেলা হবে।
এবারের জাতীয় ঈদগাহের ঈদ জামাতে প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রীপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, বিচারপতিবৃন্দ, দুই সিটির মেয়র, দেশি বিদেশি কূটনৈতিক ব্যক্তিসহ ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গ অংশ নেবেন। পুরুষের পাশাপাশি থাকছে নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী অজুখানা।
ঈদের প্রধান জামাত হবে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায়। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকলে ঈদগাহের বদলে আধাঘণ্টা পিছিয়ে সকাল ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।