ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। ঘরমুখো মানুষের পদচারণায় মুখরিত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাট। তবে নেই অতীতের মতো কোনো ভোগান্তি।
এরই মধ্যে বেশিরভাগ কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ভোগান্তি ছাড়া দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে গেছে। তাদেরও ছিল না কোনো ভোগান্তির অভিযোগ।
মঙ্গলবার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ফেরিতে যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি অধিক সংখ্যক মোটরসাইকেল পারাপার হচ্ছে। লঞ্চগুলোও পাটুরিয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে দৌলতদিয়া ঘাটে। তবে যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে যাচ্ছেন। ঘাটে যাত্রীদের ভিড়ের সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কেও যানবাহনের চাপ রয়েছে।
যাত্রীরা জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঈদে ভোগান্তি ছাড়াই তারা বাড়ি ফিরছেন। এ ছাড়া বাড়তি কোনো ভাড়াও দিতে হয় নাই।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহ উদ্দিন জানান, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপার করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ফেরি রয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনগুলো কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই পারাপার হচ্ছে। বর্তমানে এ নৌরুটে ১৮টি ছোট-বড় ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে এবং ৪টি ঘাট সচল রয়েছে।