বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজনৈতিক কর্মসূচি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড গুলিয়ে ফেলেছেন বিএনপি নেতারা: তথ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৬ জুন, ২০২৩ ১৯:২৮

সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনের কারণে জাতির সব অর্জন অগ্রগতি হারিয়ে যেতে বসেছে- বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘এর অর্থ গত সাড়ে ১৪ বছরে জাতির অনেক অর্জন আছে, এটা মির্জা ফখরুল সাহেব স্বীকার করে নিয়েছেন।’

বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক কর্মসূচি আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড গুলিয়ে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আর রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে পার্থক্য আছে। বিএনপির কর্মসূচি হচ্ছে সন্ত্রাসনির্ভর, তারা রাজনীতির নামে সন্ত্রাস করেন। আর এখানেই ঘটছে বিপত্তি।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত ড. কামরুল হাসান সম্পাদিত ‘সংবাদপত্রে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও গ্রন্থকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনের কারণে জাতির সব অর্জন অগ্রগতি হারিয়ে যেতে বসেছে- বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘এর অর্থ গত সাড়ে ১৪ বছরে জাতির অনেক অর্জন আছে, এটা মির্জা ফখরুল সাহেব স্বীকার করে নিয়েছেন। সরকার কারও ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে না। কিন্তু যারা আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে এবং এখনও করছে, মির্জা ফখরুল সাহেবদের নেতৃত্বে যারা এখনও রাস্তায় গাড়ি ভাংচুর করছে, তাদের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

পদত্যাগের দাবিতে মানুষ রাস্তায় নেমেছে দেখে সরকারের সিংহাসন টলমল করছে- রুহুল কবির রিজভীর এমন দাবির জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রিজভী সাহেব কি এটা জেগে বলেছেন নাকি ঘুমিয়ে বলেছেন, তার মানসিক স্বাস্থ্য কেমন- সেটি আমার প্রশ্ন। দেশের কোথাও তারা তাদের কর্মীদেরও নামাতে পারেনি, সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা।

‘আসলে দুশ’-চারশ’ মানুষ নিয়ে তারা মিটিং করতে অভ্যস্ত তো, এখন দুই-চার হাজার মানুষ দেখে তার মাথাটা নষ্ট হয়ে গেছে, এই হচ্ছে সমস্যা।’

চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত অনিবন্ধিত আইপি ও ক্যাবল টিভি’র বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে সম্প্রতি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন চারটি অবৈধ আইপি টিভি’র অফিস সিলগালা করা প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার-অনুমোদিত বৈধ টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রতি মাসে শুধু বিটিআরসিকে ২০ লাখ টাকার বেশি ফি দেয়। এসব টিভিতে অনেক সাংবাদিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। বর্তমানে ৩৬টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে, আরও আসবে। কিন্তু কোনো অনুষ্ঠানে গেলেই দেখা যায় যে, টিভি চ্যানেলের মতো একই ধরনের বুম আর ছোট একটা ক্যামেরা নিয়ে হাজির হয় অননুমোদিত নানা আইপি টিভি। এদের কোনো অনুমোদন নেই, এরা চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত।

‘সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী আইপি টিভি বা ইউটিউব চ্যানেলের নামে সংবাদ বুলেটিন বা অন্য কৌশল অবলম্বন করে সংবাদ প্রচার করা যাবে না, তারপরও তারা এ কাজটি করে। সেটি করতে গিয়ে অমুকের পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য চাঁদা নেয়, বিপক্ষে করার জন্যও হুমকি দিয়ে চাঁদা নেয়। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সাংবাদিক নিয়োগ দেয়ার জন্য টাকা নেয়, প্রতিমাসে প্রতিনিধিদের কাছে উল্টো টাকা দাবি করে। এই কাজগুলো সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করার জন্য এবং যাদের বৈধ লাইসেন্স নেই যারা চাঁদাবাজি ও অন্যান্য অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।’

রোববার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করেছে এবং কয়েকটি আইপি টিভির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তাদের অফিসও সিলগালা করে দিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। বলেন, “সেটি করতে গিয়ে আবার ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে এসেছে’। সেখানে তাদের কার্যালয়ের মধ্যে অবৈধ ও ভেজাল নানা ধরণের খাদ্যসামগ্রী পাওয়া গেছে। অন্যান্য জেলাতেও খুব সহসাই এ ধরনের অভিযান পরিচালিত হবে।”

জনকল্যাণেই উচ্চাভিলাষী বাজেট

এ দিন বাজেট পাস উপলক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, “জনকল্যাণেই উচ্চাভিলাষী বাজেট দেয় আওয়ামী লীগ সরকার এবং তা বাস্তবায়ন করে।

“প্রতিবারই বাজেট পেশ ও পাস হওয়ার পর সিপিডি, বিএনপি, টিআইবি ও আরও কিছু সংগঠন যে নানা ধরনের বক্তব্য দেয়, তার মধ্যে একটি বক্তব্য সবসময় থাকে যে, ‘এই বাজেট উচ্চাভিলাষী, বাস্তবায়নযোগ্য নয় এবং এটি আমজনতার কোনো কাজে আসবে না’। অথচ গত ১৪ বছরে বাজেট বাস্তবায়নের গড় হার ৯৭ শতাংশ। করোনা না থাকলে এই হার হতো ৯৮ শতাংশের কাছাকাছি। অর্থাৎ আমাদের বাজেট ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, ‘বাজেট যে দরিদ্র মানুষের কাজে লেগেছে, তার প্রমাণ হচ্ছে দারিদ্র্য ৪১ থেকে নেমে ১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ৬শ’ ডলার থেকে ২৮শ’ ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং মানুষের জীবন মান উন্নত হয়েছে।’

মন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ‘বিএনপি যখন শেষবার ক্ষমতায় ছিল ২০০৫-০৬ সালে, তখন বাজেট ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। আর এবার বাজেট পাস হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এটি তখনকার তুলনায় সাড়ে ১১গুণ বেশি এবং দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট।’

বিশ্বমন্দা পরিস্থিতির মধ্যে ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাজেট প্রণয়ন করার বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও আমাদের বাজেটের আয়তন গত বছরের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।

এবারের বাজেটও বাস্তবায়িত হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমরা ৬ মাস সময় পাব। জনগণ আমাদেরকে আবারও নির্বাচিত করলে পুরো বছর পাব আমরা। সেক্ষেত্রে অবশ্যই অন্যান্যবারের মতো বাজেট বাস্তবায়িত হবে। দেশ আরও এগিয়ে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর