বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিচারপ্রার্থীদের জন্য সারা দেশে ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন হবে: প্রধান বিচারপতি

  • প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ   
  • ২৬ জুন, ২০২৩ ১৮:১১

প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশে আর্থিক সঙ্গতি বেড়েছে এবং দেশ ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের অন্যান্য অঙ্গনের মধ্যে জুডিসিয়াল রাষ্ট্রের প্রধান অঙ্গন। গতিশীল রাষ্ট্র ব্যবস্থার সাথে সঙ্গতি রেখে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জুডিসিয়ালাকে এগিয়ে নেয়া।

সারা দেশের জেলা পর্যায়ে আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করা হবে; যাতে বিচারপ্রার্থী ও তাদের সঙ্গের লোকজন বিশ্রাম করতে পারেন।

সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে আসা বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। পরে আদালত প্রাঙ্গণের গাছের চারা রোপণ করেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশে আর্থিক সঙ্গতি বেড়েছে এবং দেশ ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের অন্যান্য অঙ্গনের মধ্যে জুডিসিয়াল রাষ্ট্রের প্রধান অঙ্গন। গতিশীল রাষ্ট্র ব্যবস্থার সাথে সঙ্গতি রেখে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জুডিসিয়ালাকে এগিয়ে নেয়া।

তিনি বলেন, জুডিসিয়ালি এগিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। তার মধ্যে একটা হলো ন্যায়কুঞ্জ। ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। দেশের ৬৪ জেলায় ৫০ লাখ টাকা করে ব্যয়ে বিচারপ্রার্থীদের প্রতিটা ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করা হবে, যাতে আগত বিচারপ্রার্থীরা সেখানে বসে বিশ্রাম করতে পারে। সেখানে আরও থাকবে নারী পুরুষের জন্য টয়লেট।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, সারা দেশে প্রায় ৪০ লাখ মামলা পেন্ডিং। এ কারণে বাদী-বিবাদী মিলে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষকে আদালত প্রাঙ্গণে আসতে হয়। এমনও দেখা গেছে, দূর-দূরান্ত এলাকার থেকে পুররুষদের সঙ্গে নারীরাও আসেন। তারা যাতে স্বস্তিতে বসতে পারেন, পানি খেতে পারেন, টয়লেট করতে পারেন; সে ব্যবস্থা নেই। অথচ বিচারক ও আইনজীবীদের বসার জায়গা আছে।

তিনি বলেন, আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের বসার জায়গা নেই। অথচ আদালত ভবন, বিচার প্রশাসন ও আইনজীবীসহ সবাই বিচারপ্রার্থীদের সেবায় নিয়োজিত থাকেন। মূলত বিচারপ্রার্থীদের জন্য ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করা হবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্যে হলো স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায়,তার ব্যবস্থা করা। কারণ ২০২২ সালে মামলা ডিসপোজালের রেট অনেক বেড়ে গেছে। তাহলে আগামী ৫-৬ বছরের মধ্যে মামলার জোট কমাতে পারবো। মামলার জটের কারণে মানুষকে ভুগতে হয়।

এ সময় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রইস উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিষ্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্টের আপিল বিভাগের রেজিষ্ট্রার মুন্সী মো. মশিউর রহমান, মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ চিফ, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খান ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উৎপল ভট্টাচার্য্যসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর