বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাড়ি ছুটছে মানুষ

  •    
  • ২৬ জুন, ২০২৩ ১৬:৪৫

রাজধানীর মতিঝিল ও দৈনিক বাংলা মোড়ে ঘুরে অনেককেই ব্যাগ কাঁধে করে দুপুরের দিকে অফিস থেকে বের হতে দেখা গেছে। তারা বলেছেন, আগে বাড়ি পৌঁছাতে পারলে একটা দিন বেশি সময় কাটাতে পারবেন স্বজনদের সঙ্গে।

পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা যানবাহনে বাস-লঞ্চ টার্মিানাল ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে রওনা হয়েছে নগরবাসী।

সরকার নির্ধারিত ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার; এর আগে সোমবারই অফিসগুলোতে ছিল শেষ কর্মদিবস। তাই দুপুরের পর থেকেই নানা পেশার মানুষের ইদযাত্রা শুরু হয়েছে।

রাজধানীর মতিঝিল ও দৈনিক বাংলা মোড়ে ঘুরে অনেককেই ব্যাগ কাঁধে করে দুপুরের দিকে অফিস থেকে বের হতে দেখা গেছে। তারা বলেছেন, আগে বাড়ি পৌঁছাতে পারলে একটা দিন বেশি সময় কাটাতে পারবেন স্বজনদের সঙ্গে।

গণপরিবহনগুলোও বাস, লঞ্চ টার্মিনাল এবং ট্রেন স্টেশনের দিকে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে এ কদিনের চেয়েও বেশি। এ ছাড়া সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রিকশা এবং অনেককে ভাড়ায় চালিক মোটরসাইকেলেও যেতে দেখা গেছে।

ঢাকায় যারা চাকরি করেন, তাদের কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের এরই মধ্যে বাড়িতে পাঠিয়েছেন। চাকরিজীবীরাও ফিরবেন আজ-কালের মধ্যে; সোমবার এমন অনেকে বাড়ির পথ ধরেছেন।

গাবতলী বাস টার্মিনালে বিকেল ৪টার দিকে কথা হয় ব্যাংক কর্মকর্তা সুমন চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের আগে পাঠিয়েছি। ভেবেছিলাম সকালের একটু পরই রওনা হব। তবে অফিস থেকে বের হতে একটু দেরি হয়েছে।

বাইকে করে মগবাজার মোড় থেকে সদরঘাটে রওনা হওয়া একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আসাদুল্লাহ বলেন, বরিশাল যাব। ঢাকায় একাই থাকি। অফিস থেকে একটু আগে আগে বের হয়ে রওনা হলাম।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনেও বাড়ির পথে রওনা হয় মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে ট্রেনের ইদযাত্রা এখনও স্বস্তির। ভিড় হয়তো রাতে বা মঙ্গলবার সকালের দিকে বাড়তে পারে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সারাদিন সদরঘাটে যাত্রী কমই ছিল, তবে বিকেলে এখান থেকে নৌপথে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের চাপ।

লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমাদের কিছু লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গিয়েছিল। এখন যেহেতু সেই রুটগুলোতে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে তাই যাত্রীরা এখনও কেবিনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন। যাত্রীর চাপ বাড়লে লঞ্চের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। আমরা প্রস্তুতি নিয়ে লঞ্চ ঘাটেই ভিড়িয়ে রেখেছি।

ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা জানিয়েছে, বিকেলের দিকে সড়কে একটু চাপ বেড়েছে। রাতে হয়তো আরও বাড়বে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সড়কে প্রস্তুত আছেন।

এ বিভাগের আরো খবর