ঘরে ফেরা মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এবং নির্ধারিত সময়ে গমন নিশ্চিত করতে ২৪ ঘণ্টা সড়কে থাকবে ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসিসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। অভিযোগকারীকে যথাসময়ে সেবা নিশ্চিত করতে সড়কে থাকবে পুলিশের মোটরসাইকেল পার্টি।
রাজধানীর গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট পরিদর্শন শেষে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে হাট পরিদর্শন করেন আইজিপি।
আইজিপি বলেন, ‘গত ঈদুল ফিতরে সকলের সার্বিক সহযোগিতায় ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে পেরেছি। সাধারণ মানুষ আশ্বস্ত হয়েছেন। যার যার গন্তব্যে নির্বিঘ্নে ও যথাসময়ে যাতায়াত করতে পেরেছেন। এবারের ঈদযাত্রাও নির্বিঘ্ন করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেট্রোপলিটন পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, র্যাব, আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ন, নৌ পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশসহ সকল ইউনিট একযোগে কাজ করছে। মালিক, শ্রমিক, হাটের ইজারাদার ও যাত্রীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, কেউ হয়রানি শিকার হচ্ছেন কি না তা জানার চেষ্টা করেছি, এখন পর্যন্ত সবই স্বস্তিদায়ক।’
সাধারণ যাত্রীদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘যেকোনো সমস্যায় প্রয়োজনে নিকটস্থ পুলিশে খবর দিন অথবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করুন, আপনার অভিযোগ জানান। পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার অভিযোগের নিষ্পত্তি করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন ও লাইসেন্সবিহীন যানবাহন না চালানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে টেলিভিশনে, টিভিসি চালানো হয়েছে। খালি পিকাপ, ট্রাকে যাত্রী হিসেবে উঠবেন না। এরপরও যদি কোনো যাত্রী ট্রাকে, পিকাপে ওঠেন তাহলে পুলিশ সদস্যরা দেখামাত্র সড়কে নামিয়ে দেবে। সুতরাং নেমে ভোগান্তিতে পড়ার আগে স্বাভাবিক গণপরিবহন ব্যবহার করুন।’
অতিরিক্ত যাত্রী হিসেবে বাসে, ট্রেনে বা নৌপরিবহনে যাতায়াত না করতে অনুরোধ জানান আইজিপি।
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, ‘যারা জাল টাকার কারবার করেন তারা হুঁশিয়ার হয়ে যান। আমরা গত দুই মাসে ৩ কোটি ৬১ লাখ জাল টাকা উদ্ধার করেছি। কারবারিদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেড় কোটি জাল টাকা উদ্ধার ও কারবারিদের গ্রেপ্তার করেছি। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টিসহ যারা প্রতারণা কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। সাবধান হবে যান, প্রতারণামূলক কাজে জড়ালে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ প্রতারিত হলে সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ নম্বরে খবর দিন পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’
ঈদের ছুটিতে যারা ঢাকাসহ শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাবেন তাদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, ‘আমরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ঈদ উপলক্ষে জনসমাগম বাড়বে সে কারণে নিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কর্মকর্তারা দিন-রাত দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঈদে যারা ঢাকা শহর ছেড়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাবেন, তারা নিজেদের প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মূল্যবান জিনিসপত্র সযত্নে ও নিরাপদে রেখে যাবেন। কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে পুলিশকে জানান ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের সব ইউনিটকে নির্দেশনা দেয়া রয়েছে।’