সংঘবদ্ধ পিটুনিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাস হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাদশার।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
প্রাণ হারানো বাদশা রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড় গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
এর আগে গত ২৪ জুন ভোরে উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাদশাকে আটক করে সংঘবদ্ধ পিটুনি দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, দুলাল হত্যাকাণ্ডের পর পলাতক বাদশা শনিবার ভোরে তার নিজ বাড়িতে আসেন। পরে বাড়ি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে ধরে সংঘবদ্ধ পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
তিনি আরও জানান, মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওসি জানান, এ ঘটনায় আবদুর রব আবুল নামের আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ১০ জুন সকালে পুলিশ বেগমগঞ্জ রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীর পাড় গ্রাম থেকে মাছ ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাসের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগের দিন রাতের কোনো এক সময় ওই গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে চেয়ারে বসা অবস্থায় দুলালকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। নিহত দুলাল চন্দ্র দাস একই গ্রামের পরেশ চন্দ্রা দাসের ছেলে।