ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার শেষে হিরো আলমসহ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল সাতজনে। এই উপ-নির্বাচনে ২০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও মনোনয়ন জমা দেন ১৫ জন প্রার্থী।
এ আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষদিনে রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন এসব তথ্য জানান। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন কেউ প্রত্যাহার না করলেও একটি দল থেকে দু’জনকে মনোনয়ন দেয়ায় দু’জনের মনোনয়নপত্রই বাতিল হয়েছে।
গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।
তফসিল অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ জুন। ভোটগ্রহণ হবে ১৭ জুলাই। এ দিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ হবে। পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা।
এই উপ-নির্বাচনে মোট ১৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে হিরো আলমসহ আট জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরবর্তীতে আপিল করলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম ও জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসানের মনোনয়নের বৈধতা দেন নির্বাচন কমিশন। বাছাইয়ে বৈধতা পান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির জিএম কাদেরপন্থী সিকদার আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট'র মো. আকতার হোসেন, তৃণমূল বিএনপি’র শেখ হাবিবুর রহমান এবং গণতন্ত্রী পার্টির মো. কামরুল ইসলাম (চেয়ারম্যানের মনোনয়ন), গণতন্ত্রী পার্টির অশোক কুমার ধর (মহাসচিবের মনোনয়ন)।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, কোনো দল থেকে একাধিক প্রার্থীকে একই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলে সংশ্লিষ্ট দলের সকল প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের বিধান রয়েছে। তাই গণতন্ত্রী পার্টির দু’জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে ঢাকা-১৭ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতজনে।