নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মামুন হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা এ রায় ঘোষনা করেন। তবে মামলার আসামিরা পলাতক।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বন্দরের শ্রী রামপুরের ২৩ বছর বয়সী মো. গাফফার ও সোনারগাঁয়ের উত্তর পাড়ার ২০ বছর বয়সী মাসুদ রানা মাসুদ। মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে বন্দরের সজীব মোল্লা নামের আরেকজনকে।
আদালত পুলিশের পরির্দশক আসাদুজ্জান জানান, ২০১২ সালের ৮ জুলাই বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হন মামুন মিয়া। রাত নয়টার দিকে তাকে তিনজন যাত্রী নিয়ে দিকে হাড়ড়া পাড়া দিয়ে যেতে দেখেন মামুনের চাচাতো ভাই একিন আলী। এর কিছুক্ষণ পর থেকে মামুনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন একটি নাম্বার থেকে ফোন করে মামুনকে অপহরণের কথা জানিয়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে অপহরণকারীদের ধরতে পুলিশের সাহায্যে নেয় মামুনের পরিবার। ফতুল্লার পাঠানতুলী এলাকায় এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দিতে গেলে পুলিশ সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে। ওই সময় পালিয়ে যান অন্যরা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে মামুনকে অপহরণের কথা। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন মামুন মিয়ার মা সুফিয়া বেগম।
মামলার রাষ্টপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহিম জানান, আসামিদের মধ্যে গাফফার ও মাসুদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা মামুনকে অপহরণের পর হত্যা করে তার মরদেহ পুকুরে ফেলে দেন। পুলিশ ওই পুকুর থেকে মামুনের মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তে নিশ্চিত হয় সেগুলো মামুনের।
তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালের ৪ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম এ মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দেন। মামলাটিতে ১৯ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত রোববার রায় দিয়েছে। রায়ে গাফফার ও মাসুদকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই আসামিদের ২০১ ধারায় আরও ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় আদালত।