বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আশুলিয়ায় ভাগাড়ে বস্তাবন্দি শিশু, উদ্ধার করে হাসপাতালে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৪ জুন, ২০২৩ ২৩:৩৭

হুমায়রা নামের আড়াই বছর বয়সী শিশুটি নিখোঁজ হয় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। বেলা আড়াইটার দিকে বাসার কাছেই ডাস্টবিন থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

রাজধানীর অদূরে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় ময়লার স্তূপ (ভাগাড়) থেকে হুমায়রা নামে এক শিশুকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করেছে এলাকার লোকজন। শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আড়াই বছর বয়সী শিশুটি শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিখোঁজ হয়। আর বেলা আড়াইটার দিকে ভাগাড়ে পড়ে থাকা অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন ওর বাবা আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়েটা আজ সকালে নিখোঁজ হয়। বেলা আড়াইটার দিকে ইগনাইট নাইট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক জয়নাল আবেদিন তুহিনের মাধ্যমে খবর পাই।

‘আমাদের বাসার কাছে স্কুল ও একটি বাড়ির মাঝখানে পরিত্যক্ত একটি গলি আছে। সেখানে এলাকার লোকজন ময়লা ফেলে। ওই ডাস্টবিন থেকে বস্তার মুখ বাঁধা অবস্থায় আমার সন্তানকে ফেলে রাখা হয়েছিল। বস্তার মুখ খুলে আমার মেয়েকে গলায় গামছা প্যাঁচানো অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।’

স্কুল শিক্ষক তুহিন বলেন, ‘আজ (শনিবার) দুপুরের দিকে আমাদের স্কুলের পাশে একটি পরিত্যক্ত গলিতে প্লাস্টিকের বস্তা পড়ে থাকতে দেখে এক টোকাই। সে ওই বস্তার মুখ খুলে দেখে একটি শিশুর গলায় গামছা প্যাঁচানো।

‘ওই টোকাই ছেলেটি বস্তাবন্দি শিশু দেখে চিৎকার দেয়। পরে আমরা দৌড়ে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করি। প্রথমে শিশুটির কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। কৃত্রিম শ্বাস-নিঃশ্বাস দেয়া এবং বুকে আস্তে আস্তে হাতের চাপ দেই। কিছুক্ষণের মধ্যে শিশুটি নাড়াচাড়া দিয়ে ওঠে। পরে আশুলিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই।’

তুহিন আরও বলেন, ‘বেসরকারি ওই হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটির শারীরিক অবস্থা দেখে ঢাকা মেডিক্যালল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে আমরা আমরা শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসি।’

শিশুটির বাবা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘৬ মাস আগে আমার স্ত্রীর ভাইয়ের ছেলেকে প্রতিবেশী শাহিনুর ভাতের ফ্যান ঢেলে দিয়ে তার শরীরের ঝলসে দেয়। ওর চিকিৎসায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা ব্যয় হয়।

‘আমাদের বাড়িওয়ালা সালিশ বৈঠক ডেকে ওই ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়। আমার সম্বন্ধি তারে ছেলের চিকিৎসার টাকা চাইতে গেলে শাহিনুর ও তার পক্ষের লোকজন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

‘আমি মনে করি, ওই ঘটনার জের ধরেই ওরা আমার শিশু সন্তানকে হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে গলায় গামছা পেঁচিয়ে বস্তাবন্দি করে ফেলে রেখেছিল।’

তিনি জানান, শিশুকে হত্যাচেষ্টার এই ঘটনা আশুলিয়া থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

আজিজুল ইসলামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার যাওয়ার গ্রামে। আশুলিয়ার জিরাবো পুকুরপাড় এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন। তিনি ভ্যান গাড়িতে কাঁচামালের ব্যবসা করেন। দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের মধ্যে হুমায়রা সবার ছোট।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘শিশুটিকে বর্তমানে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি আশুলিয়া থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর