রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর প্রথমে নবজাতক এবং পরে মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় আলোচনায় চিকিৎসক সংযুক্তা সাহা। তিনি ১৩ বছর ধরে নিবন্ধন নবায়ন ছাড়াই রোগী দেখছিলেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার আগেই নিবন্ধন রিনিউ করা উচিত ছিল। কিন্তু এত ব্যস্ত থাকি যে, সময় পাইনি। এটা আসলে আমার ভুল।’
শনিবার রাজধানীর পরীবাগে তার নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংযুক্তা সাহা বলেন, ‘আমার নিবন্ধন নেই, বিষয়টি তা না। নিবন্ধন আছে, তবে সেটি রিনিউ করা হয়নি। বিএমডিসিতে রিনিউয়ের একটা ফি দিতে হয়। গত বছর থেকে যে এটার অনলাইন সিস্টেম ছিল, তা আমি জানতাম না।’
আপনি এর আগে সেন্ট্রাল হাসপাতালকে দোষী করে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তারা বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বলেছেন। আপনি সেটি করবেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটি আমার আইনজীবী বলবে।’
রোগীদের নিয়ে ফেসবুকে প্রচার করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল আইনে এমন কোনো বিধান আছে কি না আমি জানি না। যদি থাকে, মানুষের ভালোর জন্য করতে গিয়ে যদি খারাপ হয়, আমি এটি বন্ধ করব।’
অন্তঃসত্ত্বা মাহবুবা রহমান আঁখিকে ৯ জুন কুমিল্লার তিতাস উপজেলা থেকে এনে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আঁখির পরিবারের ভাষ্য, তাকে ভর্তি করা হয় চিকিৎসক সংযুক্তা সাহার অধীনে। তবে সংযুক্তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি সে সময় দেশের বাইরে ছিলেন।
অন্য চিকিৎসকরা আঁখির স্বাভাবিক প্রসব করাতে ব্যর্থ হয়ে পরে অস্ত্রোপচার করেন। ওই সময় নবজাতকের মৃত্যু হয়। এক সপ্তাহ পর আঁখিও মারা যান।
নবজাতকের বাবা ইয়াকুব আলী মামলা করলে দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।