বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বক্তব্যের প্রতিবাদ করায় প্রতিমন্ত্রীর সামনেই আ.লীগ নেতাকে মারধর

  • প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম   
  • ২৩ জুন, ২০২৩ ২৩:১৯

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যাদুরচরের কর্তিমারী বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস করে দিয়েছি। কিন্তু অফিসের এক অংশ ভাড়া দিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ। আর একাংশ অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন তিনি।’ প্রতিমন্ত্রীর এ কথার প্রতিবাদ করলে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কুড়িগ্রা-ে৪ আসনের (রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী) এমপি ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সামনেই আওয়ামী লীগের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে রৌমারী উপজেলা পরিষদ হলরুমে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাখাওয়াত হোসেন সবুজ উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, শুক্রবার আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা পরিষদ হল রুমে আলোচনাসভা চলছিল। সভায় যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজকে বক্তব্য দেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলে তিনির বক্তব্য দেবেন না বলে জানান।

পরবর্তী সভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘একজন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিকে বক্তব্য দিতে বললে তিনি বক্তব্য দেবেন না। অথচ নেতাগিরি করেন। এভাবে কি রাজনীতি করা যাবে? আপনারা কর্মীদের মূল্যায়ন চান, কিন্তু সে অনুযায়ী কাজ করেন না।’

এসময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি যাদুরচরের কর্তিমারী বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস করে দিয়েছি। কিন্তু অফিসের এক অংশ ভাড়া দিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ। আর একাংশ অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন তিনি।’

প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ।

উত্তরে তিনি বলেন, ‘আপনি কথাটি ঠিক বললেন না। আপনি যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস তৈরি বাবদ কোনো টাকা দেননি। আপনি কখন কর্মীদের মূল্যায়ন করেছেন?’

এ কথা বলার পর শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। একপর্যায়ে সবুজের ওপর হামলার করেন প্রতিমন্ত্রীর সমর্থকরা।

পরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রাসহ দলের অন্যন্য নেতারা পরিবেশ শান্ত করেন।

হামলার শিকার যাদুরচর সাখাওয়াত হোসেন সবুজ বলেন, ‘আলোচনা সভায় আমাকে বক্তব্য দিতে বলা হয়। আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় বক্তব্য দেব না বলে জানাই। পরবর্তীতে সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন কথাবর্তা বলতে থাকেন। এসময় আমি বলি, ভাই, আপনার এ কথাগুলো ঠিক না। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর অনুসারীরা আমাকে ধাক্কাধাক্কি করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন।’

এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা বলেন, ‘আলোচনাসভায় আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নিজেদের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছিল। পরে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।’

তবে মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেন রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘যাদুরচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের অফিস নির্মাণ করা হয়েছে। সেই অফিস অন্যের কাছে ভাড়া দিয়েছেন এবং অফিসের একাংশ দখলে নিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনাসভায় যাদুরচর ইউনিয়ন সাখাওয়াত হোসেন সবুজকে বক্তব্য দিতে বলা হয়। তিনি বক্তব্য দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে মঞ্চে আমি বক্তব্য দেয়ার সময় তার বিষয়ে কথা বললে তিনি চেয়ার থেকে হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়েন এবং রুম থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকে চেয়ারে বসানোর চেষ্টা করেন।’

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক সুমন মিয়াসহ নেতৃবৃন্দ।

এ বিভাগের আরো খবর