বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেশকে বিপদে ফেলে দিচ্ছে: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৩ জুন, ২০২৩ ২৩:০৮

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন এখন সরকারি দলের খেলায় পরিণত হয়েছে। তাদের অধীনে কোনোকালেই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। বর্তমান সরকার, তথা শেখ হাসিনার অধীনেও কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।’

প্রধানমন্ত্রী যে কথাগুলো বলছেন তা দেশকে বিপদে ফেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, আমেরিকা নাকি তাকে সরাতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন বক্তব্য আমরা আশা করিনি।’

রাজধানীর শাহজাদপুরে শুক্রবার শ্রমিক দল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সীমাহীন দুর্নীতি, শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি’ দাবিতে এই শ্রমিক-কর্মচারী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বিকেল চারটার দিকে সমাবেশ শেষে পদযাত্রা শুরু হয়ে রামপুরার আবুল হোটেলে গিয়ে শেষ হয়। এই পদযাত্রার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন এখন সরকারি দলের খেলায় পরিণত হয়েছে। তাদের (আওয়ামী লীগ) অধীনে কোনোকালেই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। বর্তমান সরকার, তথা শেখ হাসিনার অধীনেও কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমেরিকা থেকে ফিরে এসে তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বললেন যে আমেরিকা নাকি তাকে সরাতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা এমন বক্তব্য আশা করিনি।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘তার মানে আপনি জেনে গেছেন যে আন্তর্জাতিক বিশ্ব আপনাকে সমর্থন দিচ্ছে না; বাংলাদেশে তো আপনার সমর্থন নেই-ই।

‘বাংলাদেশের মানুষ একটাই কথা বলছে- আপনি এই মুহূর্তে চলে যান। পরিষ্কার কথা, পদত্যাগ করুন। পদত্যাগ করে একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। কারণ এ দেশে হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।’

ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার জনগণের আন্দোলনকে ভয় পায় বলেই আমাদের নেতৃবৃন্দকে আটকে রেখেছে। মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে দিনের দিন আটকে রাখা হয়েছে। যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নাসহ আরও অসংখ্য নেতা-কর্মীকে আটকে রেখেছে এই সরকার।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়। তারা ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচন করেছে। ২০১৮ সালের দিনের ভোট রাতে করে জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে।

‘দখলদার এই সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে দেশের মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব বদরুল আলম ও মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব কামরুল জামান।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আমিনুল হক, শ্রমিক দল সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভূঁইয়া ও উত্তরের আহ্বায়ক কাজী শাহ আলম রাজা।

এ বিভাগের আরো খবর