ছোট চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহর বরিশাল সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে জয়ী হওয়াকে নিজের জয় হিসেবেই দেখছেন এই সিটির বিদায়ী মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
বরিশালে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নগরীর সোহেল চত্বরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের বিদায়ী মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, আমার চাচা মেয়র মানেই আমি মেয়র। যেটা ভোটে প্রমাণ হয়েছে। ১২৬ কেন্দ্রের মধ্যে ১২৫টিতে জয় লাভ করেছেন আমার চাচা। বিভাজন করার কোনো সুযোগ নেই। যারা দখলবাজ তারা সব সময় ছিল, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাংবাদিকদের সাদিক আব্দুল্লাহ আরও বলেন, বরিশাল আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই, আওয়ামী লীগ সব সময় একতাবদ্ধ। শান্তির নগরী বরিশাল, শান্তিতে রাখার চেষ্টা করবো আমাদের সাধ্য অনুযায়ী। আমরা সহাবস্থান রেখেই চলবো। রাজনীতিতে শেষ বলতে কোনো কথা নেই।
তিনি বলেন, জবর দখল কিসের লক্ষণ সেটা আপনারা ভালো করে বোঝেন। কিছু লোকজন তো আছে যারা সুবিধার জন্য আওয়ামী লীগে আসে, আবার সুবিধা নেয়া শেষ হলে তারা চলে যাবো। দল ক্ষমতায় না থাকলে এদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এ সময় আরও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীরসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বিকেলে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বর্নাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
বরিশাল সিটির ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন সাদিক আবদুল্লাহ। এরপর নেতিবাচক নানা ঘটনায় আলোচিত হন তিনি। এবার সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি সাদিক আবদুল্লাহ। মনোনয়ন পেয়ে জয়ী হয়েছেন তার ছোট চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ।