বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যাবজ্জীবনের আসামি আত্মগোপনে ছিলেন ভিডিও এডিটিংয়ের কাজ করে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৩ জুন, ২০২৩ ১৩:২৬

২০০৫ সালের পর তুহিন পলাতক ছিলেন। গ্রেপ্তার এড়াতে বারবার ভাড়া বাসা পরিবর্তন করতেন। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভিডিও এডিটিংসহ বিভিন্ন সফট্ওয়্যারভিত্তিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

রাজধানীর তেজগাঁও থেকে তুহিন রেজা নামের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তিনি নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য এবং ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত।

বৃহস্পতিবার রাতে তেজগাঁও রেলগেইট এলাকা থেকে ১৮ বছর পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, ২০০৫ সালের পর তুহিন পলাতক ছিলেন। গ্রেপ্তার এড়াতে বারবার ভাড়া বাসা পরিবর্তন করতেন। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভিডিও এডিটিংসহ বিভিন্ন সফট্ওয়্যারভিত্তিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি জানান, গ্রেপ্তার তুহিন ২০০৪ সালে জেএমবির ঝিনাইদহ সদর শাখায় সদস্য হিসেবে যোগ দেন। তিনি এ শাখার লিফলেট তৈরি, লিখিত প্রচার সম্পাদনা, গোপন ও নাশকতামূলক খবরাখবর আদান-প্রদান, বিভিন্ন ভিডিও এডিটিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করা বিভ্রান্তিমূলক প্রামাণ্যচিত্র দিয়ে তরুণদের পথভ্রষ্ট করতেন।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ভোর থেকেই অন্যান্য হামলাকারীদের সঙ্গে তুহিন আদালত চত্বরের আশেপাশে অবস্থান নেন এবং হামলার সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এলোপাথাড়ি বোমা হামলার পর তারা বিভিন্ন দিকে দৌড়ে পালিয়ে যান।

তুহিন ১৭ আগস্ট বোমা হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে এসে ঝিনাইদহ সদরে জঙ্গি ক্যাম্পে কিছুদিন অবস্থান করেন। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। এখানে তিনি প্রথমে যাত্রাবাড়ী পরবর্তীতে খিলগাঁও, উত্তরা, মহাখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন।

২০২১ সাল থেকে তিনি তেজগাঁও এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন।

ফিরে দেখা

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, জেএমবি ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। ওই দিন বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে সারা দেশের ৬৩টি জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার পাশাপাশি রাজধানীর ৩৪টি স্পটসহ ৪৫০টি স্পটে আনুমানিক ৫০০ বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা।

একযোগে হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশে নিজেদের সংঘবদ্ধ উপস্থিতির জানান দেয়ার চেষ্টা ছিল জেএমবির।

ওই বিস্ফোরনের ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা হয়। মামলাটির তদন্তে ঘটনাটি জেএমবি ঘটিয়েছে বলে প্রমাণিত হয়।

ঝিনাইদহ জেলায় সংগঠিত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ২১ জন জড়িত বলে আদালতে ২০০৫ সালের ২০ নভেম্বর একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মামলাটি স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ঝিনাইদহে বিচার শেষে অভিযুক্ত ২১ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

কিন্তু আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করলে আদালত ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দেয় এবং সাতজনকে খালাস দেয়।

ওই মামলায় এ পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৭ নম্বর আসামি মোহন পলাতক রয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর