তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জীবন এক যুদ্ধক্ষেত্র। ইচ্ছাশক্তির কমতিই এখানে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও নিরন্তর সংগ্রামই জীবনযুদ্ধে জয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরে স্কলাস্টিকা প্রধান শাখার ‘এ লেভেল’ শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন মন্ত্রী। শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই ধাপটি অতিক্রম করায় ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এসময় অভিনন্দন জানান তিনি।
বাসসের খবরে বলা হয়, এসময় জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি প্রসঙ্গে দেশ-বিদেশের বিদ্যাপীঠ থেকে তার অর্জিত শিক্ষা ও জীবনসংগ্রাম থেকে লব্ধ অভিজ্ঞতার ওপর আলোকপাত করেন ড. হাছান।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধকতা দেখে হতোদ্যম না হয়ে লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। কোনো পরীক্ষার ফল খারাপ হলে মন খারাপ নয়, সেখান থেকেই নতুন উদ্যমে চেষ্টা করতে হবে।
‘দৃপ্ততার সঙ্গে শপথ নিতে হবে যে, আমাকে বিশ্বজয়ী হতে হবে, আমাকে এটা পারতেই হবে, আমি সফল হবই। তাহলেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে।’
জীবনের কোনো কোনো পর্যায়ে আমাদের একাই লড়াই করতে হয় উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এ সময় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, লতা মুঙ্গেশকর, বিল গেটসসহ বিশ্বের সফলতম ব্যক্তিদের জীবনের হার না মানা সংগ্রামের উদাহরণ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আজকের অবস্থানে উত্তরণের পেছনে মা-বাবা, পরিবার ও শিক্ষকদের যে পরম অবদান রয়েছে তা সারাজীবন স্মরণ রেখে সম্মান দিতে হবে।’
‘আশা ও আকাঙ্খা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্কলাস্টিকার পক্ষে মিরপুর সিনিয়র শাখার অধ্যক্ষ নুরুন নাহার মজুমদার এবং হেড অব অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ার্স সাবিনা মুস্তফা বক্তব্য রাখেন।
এ বছর সনদপ্রাপ্ত ১১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ জন 'হায়েস্ট ইন সাবজেক্ট', ১৬ জন 'হাই অনার' এবং ৫ জনের হাতে 'অনার' সনদ তুলে দেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সনদ বিতরণের মাঝে বিরতিতে শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।