ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় আবাসনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়ির দারোয়ানদের সঙ্গে সার্বিক বিষয়ে সমন্বয় করবে পুলিশ। বাসা-বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা থাকবেন তাদের নম্বর আদান-প্রদানের পাশাপাশি কিছু নির্দেশনাও দেবে থানা পুলিশ।
ফাঁকা ঢাকায় বাসা-বাড়িতে চুরি ঠেকাতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে ঈদে ঢাকার সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভাশেষে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘প্রত্যেক বাসায় পাহারার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের নম্বর নিয়ে আসব। আমাদের নম্বরও তাদেরকে দেয়া হবে। সিসি ক্যামেরাগুলো সচল আছে কিনা তা চেক করা হবে। আমাদের কমান্ড কন্ট্রোল সেন্টার থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
সমন্বয় সভার এই তথ্যের বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) কে এম হাফিজ আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নম্বর আদান-প্রদানের পাশাপাশি কখন কী করতে হবে, কোথায় ফোন করতে হবে, নিরাপত্তার বিষয়ে কেমন সজাগ থাকতে হবে- এসব বিষয়ে থানা পুলিশ বাড়ি-ঘরের নিরাপত্তায় থাকা ব্যক্তিদের জানাবে।
‘দারোয়ানদের কাছে টহল টিম যাবে, তাদেরকে কানেক্ট করা হবে। কারও কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা তা জানার চেষ্টা করবে। সমস্যা হলে পুলিশকে যেন অবহিত করা হয় সে বিষয়ে সচেতন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা বাড়ির মালিকদের প্রতি আহ্বান জানাব। যাদের সামর্থ্য আছে তারা যেন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেন। বিকল হয়ে পড়ে থাকা সিসি ক্যামেরাগুলোও যেন সচল করা হয়। এতে করে নিরাপত্তা আরও জোরদার হয়।’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় নগদ টাকা বা গহনা খালি বাসায় না রেখে ব্যাংক বা আত্মীয়ের কাছে রেখে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, ‘ফাঁকা ঢাকায় যাতে চুরি-ডাকাতি না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেব। ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করব, আপনারা যখন চার-পাঁচদিনের জন্য বাসা ফাঁকা রেখে গ্রামের বাড়িতে যাবেন, তখন দয়া করে মূল্যবান বস্তু অর্থাৎ নগদ টাকা ও গহনা খালি বাসায় না রেখে ব্যাংকে রাখেন। অথবা নিকট-আত্মীয় বা বন্ধু-বান্ধবদের কাছে রেখে যাবেন। ফাঁকা বাসায় কোনো দুষ্কৃতকারী ঢুকে পড়লেও সে ক্ষেত্রে মূল্যবান সম্পদ খোয়া যাওয়ার ভয় থাকবে না।’
সভায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে যাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধা মনিটরিং করা; বাস, রেল ও লঞ্চ স্টেশনকেন্দ্রিক নিরাপত্তা; গার্মেন্টকর্মীদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধ ও গমনাগমন; বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক নিরাপত্তা; ঈদ জামাত ও ঈদ-পরবর্তী সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।
বাসা-বাড়ির নিরাপত্তায় র্যাবও তৎপর থাকবে বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ‘ঈদে নগরবাসী শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে যান। কেউ খালি বাসা-বাড়ি নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা বোধ করলে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা ব্যবস্থা নেব। আমাদের নজরদারি ও গোয়েন্দা কার্যক্রম অনেকটাই বৃদ্ধি করা হয়েছে।’