ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে গরু নিয়ে আসছেন ব্যাপারীরা।
তারা জানান, যানজট এড়ানো এবং হাটে পছন্দের স্থান পেতে আগেই চলে আসছেন। তবে শুক্রবার থেকে বিক্রি শুরু হবে।
মূলত বেশি দামে বিক্রির আশায় খামারি ও ব্যাপারীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজধানীর হাটে গরু আনেন।
এবার ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশেনে ৯টি করে ১৮টি এবং গাবতলীতে হাট বসেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায়, শামিয়ানা, গরু বাঁধার জন্য বাঁশ, মাঠে বালু ফেলা, অস্থায়ী শৌচাগারসহ অন্যান্য প্রস্তুতি প্রায় শেষ। বাকি কাজ দ্রুত শেষ করতে ব্যস্ত ইজাদাররা।
তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খেলার মাঠে কোরবানির হাটে আনা হচ্ছে গরু। বৃহস্পতিবারের ছবি: নিউজবাংলা
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খেলার মাঠের হাটে গরু বিক্রি করতে আসা মো. দুলাল মিয়া বলেন, ‘সাতটা গরু গ্রাম থেকে কিনে ঢাকায় নিয়ে আসছি। আগে আগেই আসলাম। কারণ পরে এলে ভালো জায়গা পাওয়া যায় না। আশা করি, ভালো দামেই গরু বিক্রি করতে পারব।’
এদিকে বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজারের সড়কের দুই পাশে সারি সারি গরু রাখা হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে এখানে গরু আসতে শুরু করেছে।
গত বছরের মতো এবারও মেরাদিয়া হাট সংলগ্ন সড়কগুলো এবং বাড়ির সামনে অবৈধভাবে গরু বিক্রি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মণির হোসেনকে জানানো হলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গরু হাটে রাখার নির্দেশ দেয়া আছে। এগুলো তো রাস্তায় থাকার কথা না।’
পরে ওসি বলেন, ‘দুপুরে সড়কে গরু রাখার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল পাঠাই। পরে গরু সরিয়ে নেয়। আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক মহাসড়কের পাশে হাট বসানো প্রসঙ্গে বলেন, ‘হাইওয়ের পাশে গরুর হাট কোনোমতেই বসতে দেয়া হবে না। কেউ বসালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গরু নিয়ে টানাটানি করা যাবে না। গাড়ির সামনে লেখা থাকবে, কোন হাটে যাবে। টানাটানি করলে গ্রেপ্তার করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রাজধানীর হাটে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের মনিটরিং সেল থাকবে। এ ছাড়া রাজধানীর প্রতিটি পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তের মেশিন ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।