ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ টেলিকমের ১০৬ শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে দিতে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছে চেম্বার আদালত।
বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর চেম্বার আদালত এই আদেশ দিয়েছে। পরে এ বিষয়ে ১০ জুলাই শুনানির জন্য তা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে ২১ জুন হাইকোর্টে রিট করেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদন করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম কার্যালয় পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০৬ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি।
এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা করেন তারা।