বিএনপির আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তা না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যারা আটক আছে, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। আমাদের দাবি, যাদের আটক করা হয়েছে, তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিন। অন্যথায় আমরা দুর্বার আন্দোলন করে তাদের বের করে নিয়ে আসব।’
তিনি বলেন, ‘তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সচিব রফিকুল আলম মজনুকে বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়েছে। তাকে বারবার মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে রাজনীতির মাঠে নামতে না দেয়ার এটি একটি চক্রান্ত।
‘একদিকে তারা মানবাধিকারের কথা বলছেন, অন্যদিকে তারা সেটি লঙ্ঘন করছে। আমরা সমাবেশ এবং কর্মসূচির মাধ্যমে সবার সামনে সমস্যাগুলো তুলে ধরছি। আমরা ১০ দফা দাবির কথা বলেছি। আমরা এই সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছি।’
নির্বাচনের আগে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম মাওলা শাহীনকে ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে তিনি অনেকবার জামিন পেয়েছেন, কিন্তু তাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। এটা খুবই ভয়াবহ ব্যাপার। অত্যন্ত পরিকল্পিত এই চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
‘নির্বাচনের আগে সবাইকে গ্রেপ্তার করে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে, যেন তারা নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় না থাকতে পারে।’
গোয়েন্দা বাহিনী নেতা-কর্মীদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের যারা অ্যাকটিভ নেতা, তাদেরকে গোয়েন্দা বাহিনী তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তারা এমন মরিয়া হয়ে আছে যে, দেশের ক্ষতি করতে তারা দ্বিধাগ্রস্ত হচ্ছে না।
‘যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে, তাদের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করেন। তাদের নির্দেশে গণতান্ত্রিক অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করবেন না। তাদের কাজ রাষ্ট্রদোহী কাজ করছে। এসবে আপনারা সহযোগিতা করবেন না।’
তিনি বলেন, ‘তা ছাড়া দেশের জনগণ জানে কীভাবে তাদের অধিকার আদায় করে নিতে হয়। তাই নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে তারা সুষ্ঠুভাবে সংসদ নির্বাচনে আসুক।’