বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বর্জনের পরও সাড়ে ১২ হাজার ভোট পড়ল হাতপাখায়

  • প্রতিবেদক, সিলেট   
  • ২১ জুন, ২০২৩ ২৩:৪৮

বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সার্বিক ফলাফলের বিচারে ৮ প্রার্থীর মধ্যে চতুর্থ হয়েছেন নির্বাচন বর্জন করা হাতপাখার এই প্রার্থী।

সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোটের আগেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুল হাসান। ভোটের মাঠে না থাকলেও তার প্রতীক হাতপাখায় ১২ হাজার ৭৯৪টি ভোট পড়েছে।

বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সার্বিক ফলাফলের বিচারে ৮ প্রার্থীর মধ্যে চতুর্থ হয়েছেন নির্বাচন বর্জন করা এই প্রার্থী।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদির জানান, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়ায় ভোটে মাহমদুল হাসানের প্রতীকও ছিল।

সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের জাপার প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল পান ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট। সে হিসাবে বাবুলের চেয়ে ৬৯ হাজার ১২৯টি বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান।

বাস প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. শাহাজান মিয়া ২৯ হাজার ৬৮৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। আর মাহমদুল হাসান হয়েছেন চতুর্থ।

এছাড়া মেয়র পদে হরিণ প্রতীকে মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫৯ ভোট। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল হানিফ কুটু পেয়েছেন ৪ হাজার ২৯৬ ভোট। ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকের প্রার্থী মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৪৮ ভোট। গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মো. জহিরুল আলম পেয়েছেন ৩ হাজার ৪০৫ ভোট।

বুধবার বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামি আন্দোলনের প্রার্থী ও দলটির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেছেন, ‘সিলেট নগরীর সচেতন জনগণ অথর্ব, দলান্ধ, অযোগ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনের এই নির্বাচন বর্জন করেছে। শুধু কিছু কাউন্সিলরদের ভোটার ছাড়া আর কেউ ভোটকেন্দ্রে যায়নি।’

মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘গত ১২ জুন বরিশাল সিটি নির্বাচনে আমাদের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর হাতপাখার মেয়র প্রার্থীর ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ন্যক্কারজনক হামলা ও সিইসির জঘন্য মন্তব্যের পর আমরা সিলেট সিটির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেই। মূলত যেখানে একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার পরও সিইসির এমন জঘন্য বক্তব্য পাওয়া যায়, সেখানে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না তা সহজেই অনুমেয়।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এই সরকার ও এই সিইসির অধীনের কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আশা করা যায় না। বরং ভোটাররা নিজেদের ওপর হামলার আশঙ্কায় ভীত থাকেন। আলহামদুলিল্লাহ, সিলেটে আমরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়ায় সিলেটের সচেতন জনগণও নির্বাচন বর্জন করেছেন। প্রমাণ হয়েছে জনগণ আমাদের সঙ্গে আছেন, সরকারের সঙ্গে নেই।’

সিটি নির্বাচনে তার কথায় সাড়া দিয়ে নির্বাচন বর্জন করায় সিলেটের আপামর জনসাধারণকে অভিনন্দন জানান তিনি।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে গত ১২ জুন ভোট বর্জন করে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ। সে সময় খুলনা ও বরিশাল সিটির ভোটের ফল প্রত্যাখ্যানসহ সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন থেকেও প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় দলটি। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান সিলেট সিটি নির্বাচনের হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। এরপর থেকে নির্বাচনী প্রচারসহ ভোট-সংক্রান্ত সব ধরনের কাজ থেকে দূরে থাকেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর