রাজশাহীর মতো সিলেট সিটি নির্বাচনেও জয়লাভ করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
চুড়ান্ত সরকারি ফলাফলে নৌকা প্রতীকের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট। এ ছাড়া গোলাপ ফুল প্রতীকের জাকের পার্টির প্রার্থী মো. জহিরুল আলম পেয়েছেন ৩ হাজার ৪০৫ ভোট, বাস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া পেয়েছেন ২৯ হাজার ৬৮৮ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু পেয়েছেন ৪ হাজার ২৯৬ ভোট, ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকের মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৪৮ ভোট এবং হরিণ প্রতীকের মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা পেয়েছেন ৪ হাজার ২৯৬ ভোট।
নির্বাচনের আগেই ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলেও তার হাতপাখা প্রতীকে পড়েছে ১২ হাজার ৭৯৪ ভোট।
চুড়ান্ত ফল ঘোষণার আগেই বুধবার সন্ধ্যায় ভোটে অনিয়মের অভিযোগে ফল প্রত্যাখ্যান করেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল।
সে সময় তিনি বলেন, ‘এটি একটি পাতানো নির্বাচন। ভোটাররা লাঙ্গলে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন কর্মকর্তারা তা নৌকার ভোট হিসেবে গণনা করেছেন। তারা ফল উল্টে দিয়েছেন। আমি এই ফল প্রত্যাখ্যান করছি।’
এর আগে সকালে নগরের আনন্দনিকেতন কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বাবুল বলেন, ‘নির্বাচনে পেশীশক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। আমার এজেন্টদের অনেক কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। আমার ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সুষ্টু ভোট সম্ভব হবে না।’
তিনি বলেন, ‘প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন সব নৌকার প্রার্থীর পকেটে। তাদের অভিযোগ দিয়ে কোনো লাভ নেই।’
তবে তার এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন নবনির্বাচিত মেয়র। তিনি বলেন, ‘ওরা যদি এজেন্ট না দিতে পারে, ওদের যদি লোক না থাকে, তাহলে আমাদের তো কিছু করার নেই। আমরা তো কউকে বাধা দেইনি।’
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গেও ভোটার রয়েছেন ৬ জন।
এবারই প্রথম ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়েছে এই সিটিতে। নগরের নতুন ১৫টি ওয়ার্ডেও এবার প্রথম নির্বাচন। নতুন ওয়ার্ডগুলো মিলিয়ে এবার মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৪২টি। গতবছরের তুলনায় এবার ভোটার বেড়েছে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার।
এর আগে গত দুই মেয়াদে সিলেটের মেয়র ছিলেন বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী। তার আগের দুই মেয়াদে মেয়রের আসনে ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিক প্রয়াত বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান।