প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচিত সরকারপ্রধান আরেকজন নির্বাচিত সরকারপ্রধান দ্বারাই প্রতিস্থাপিত হবে৷ এটা যেমন উচ্চ আদালতের রায়ে আছে, আমাদের সংবিধানেও আছে। এর বাইরে অনির্বাচিত কেউ আসতে পারবেন না।
বুধবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতক্ষণ একজন নির্বাচিত সরকার প্রধান বা প্রধানমন্ত্রী না আসবেন, ততক্ষণ আগের নির্বাচিত সরকার পরিবর্তিত হবে না। যতক্ষণ আরেকজন নির্বাচিত সরকারপ্রধান ক্ষমতা না নেবেন, সেটা পরিবর্তন হবে না। একজন নির্বাচিতের জায়গায় আরেকজন নির্বাচিতকেই আসতে হবে। সেটা সবাই জানে। অথচ জানার পরও কেন সাংবিধানিক জটিলতার সৃষ্টি করা হচ্ছে? উদ্দেশ্যটা কী? তার মানে এ দেশের গণতান্ত্রিক ধারাটাকে নষ্ট করা। দেশ যে দীর্ঘদিন সুষ্ঠুভাবে চলছে সেটাকে নষ্ট করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যেহেতু ওয়েস্টমিনস্টার টাইপের গণতন্ত্র তাই ইংল্যান্ডসহ ওইসব জায়গায় যেভাবে নির্বাচন হয় ঠিক সেভাবে আমাদের এখানে নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন সময় নিয়ে আমাদের বিরোধী দল থেকে নানা প্রস্তাব। তারা এখন আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। এটা সম্পর্কে খালেদা জিয়ার উক্তি ছিল, পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নাই।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দেশে অপরাধ করেছে, দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তারা বিদেশে গিয়ে এখন মানবাধিকারের বিরাট প্রবক্তা হয়ে গেছে। কেউ কেউ দুর্নীতির প্রবক্তাও হয়ে গেছে।’
সংখ্যালঘু নির্যাতন ও তাদের সংখ্যা কমে যাওয়া সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে। যার যার ধর্ম সেই সেই পালন করবে, সেই নীতিতে বিশ্বাস করে। ২০০১ সালের পরে সংখ্যালঘুদের ওপর যে অত্যাচার, বীভৎস ঘটনা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, এমনকি মুসলমানরাও রেহাই পায়নি। একটা পাড়া পর্যন্ত তারা (বিএনপি) জ্বালিয়ে দিয়েছে, মানুষ হত্যা করেছে। মন্দির ভেঙেছে, মসজিদ ভেঙেছে। বিএনপি-জামায়াত এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে। হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে।’
দেশের মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরাই করে দিয়েছি। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নানা ধরনের অপপ্রচার করছে। সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।’