প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি জানি না কেন সাংবিধানিক জটিলতা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএনপি গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। এখন তারা দেশ বিক্রি করবে, নাকি সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়? আমি দেশের কোনো সম্পদ কারো কাছে বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না।
বুধবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ কাউকে লিজ দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাইলে, আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু আমার দ্বারা সেটা হবে না। আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আমি কাউকে খেলতে দেব না।
‘আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারো নেই। আমার দেশের মাটি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাবে, কাউকে আক্রমণ করবে-এমন কাজ আমি হতে দেবো না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা। কারও কাছে এ দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতা থাকতে পারতাম। এখন যদি বলি সেন্টমার্টিন দ্বীপ কারও কাছে লিজ দেব তাহলে ক্ষমতা থাকার কোনো অসুবিধা নেই। আমার দ্বারা এটা হবে না।’
সরকারপ্রধান বলেন, কিছু বিরোধী দল এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানাচ্ছে। অথচ একসময় খালেদা জিয়ার উক্তি ছিল, পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। এখন তারা নিজেরাই এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাচ্ছে। যদিও এ পদ্ধতি তারাই নষ্ট করেছিল এবং তারা এটা বাদ দিয়েছিল। তারাই রাখেনি, এখন তারাই ফেরত চাচ্ছে।
তিনি বলেন, সংবিধান ধারাকে নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি কেন করছে? উদ্দেশ্যটা কী? তার মানে গণতন্ত্রের ধারা নষ্ট করা। নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস করেছে, তিন হাজার আট শ গাড়ি পুড়িয়ে, তিন হাজারের ওপর মানুষ পুড়িয়েছে তারা।
ব্রিকসে যোগদান বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্রিকসে জয়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের যেখানে সুবিধা হবে, আমরা যেখানে সম্পৃক্ত হবো।