খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানাধীন পাবলা বনিকপাড়া এলাকায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী অঙ্কিতা দে হত্যা মামলায় আসামি প্রীতম রুদ্রকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম করাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও মরদেহ গুমের অপরাধে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে খুলনা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মতিউর রহমান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন আইনজীবী আব্দুল মালেক। বাদীপক্ষের সহযোগী ছিলেন আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম। রায়ের বিষয়টি উভয় আইনজীবী নিশ্চিত করেছেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি প্রীতম কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি দৌলতপুর পাবলা বণিকপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে নিখোঁজ হয় পাবলা বণিকপাড়া এলাকার সুশান্ত দের মেয়ে অঙ্কিতা দে। সে স্থানীয় সরকারি বিনা পানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে নিকটস্থ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে তারা থানায় মামলা করেন।
নিখোঁজের ছয়দিন পর তার মরদেহ পাবলা বণিকপাড়ায় একটি বাড়ির নিচ তলার বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ওই ভবন মালিকের ছেলে প্রীতম রুদ্রকে গ্রেপ্তার করে। হত্যাকাণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন প্রীতম। পরে ওই মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়। একই বছরের ১০ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান প্রীতম রুদ্রকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।