রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ পরিস্থিতি ঢাকার আগারগাঁওয়ে বসে সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরুর আগে ভোর ছয়টা থেকে নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুমে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে দুই সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শুরু হয়।
নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব, মো. আলমগীর ও রাশেদা সুলতানা কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
দুই সিটিতে ৮ লাখের বেশি ভোটার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের নগরপিতা নির্ধারণের সুযোগ পাচ্ছেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। অন্যদিকে রাজশাহী সিটিতে ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৭৬ জন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ৩০টি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৫৫টি। এ সিটিতে ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ১৫৩টি। ১ হাজার ৪৬৩টি ক্যামেরার মাধ্যমে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে সিলেট সিটি করপোরেশনে মোট ৪২টি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৯০টি। ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৬৭টি। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন ১ হাজার ৭৪৭টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
২৩টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে ৩৬৮টি সিসিটিভি ক্যামেরায় দুই সিটির ২ হাজার ৫২০টি ভোটকক্ষ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতি ডিসপ্লে ১০ সেকেন্ড পরপর অটো রোটেট করে ৩৪৫টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে আর কেন্দ্রপ্রতি দুটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।