সিলেটের শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা সেন্টারে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও আনন্দ নিকেতনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল ভোট দিয়েছেন।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে আনোয়ারুজ্জামান ও সাড়ে ৯টার দিকে বাবুল ভোট দেন। ভোট দিয়ে দুজনই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। ইনশাল্লাহ জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। বিশাল ভোটের ব্যবধানে সিলেটবাসী অবশ্যই নৌকার জয় নিশ্চিত করবেন।’
তিনি বলেন, ‘নগরবাসী উৎসবের আমেজে ভোট প্রয়োগ করছেন। ইভিএমে সহজেই ভোট প্রদান করতে পারছেন নগরবাসী।’
নির্বাচনের ফল মেনে নেবেন জানিয়ে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘ফলাফল যাই হোক, আমি মেনে নেব।’
বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্ট না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা প্রার্থীর সমস্যা। ওরা যদি এজেন্ট না দিতে পারে, ওদের যদি লোক না থাকে, আমাদের তো কিছু করার নেই। আমরা তো কাউকে বাধা দিইনি।’
সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ‘আপনারাই বলেন কোথায় বাধা দেয়া হচ্ছে?’
আনন্দ নিকেতনে ভোট দিয়ে বাবুল বলেন, ‘নির্বাচনে পেশিশক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। আমার এজেন্টদের অনেক কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। আমার ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব হবে না।’
কোন কোন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
বাবুল বলেন, ‘প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন সব নৌকার প্রার্থীর পকেটে। তাই তাদের অভিযোগ দিয়ে কোনো লাভ নেই।’
এই নির্বাচনকে নীল নকশার নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখনও সুষ্ঠু ভোট হলে লাঙ্গল বিপুল ব্যবধানে জয় লাভ করবে।’