দেশে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) আয়োজনে পুলিশ স্টাফ কলেজে সোমবার এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পুলিশ, সাংবাদিক ও একাডেমিশিয়ানদের নিয়ে আয়োজিত কর্মশালার আলোচনায় দেশে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থা ইস্যুতে গণমাধ্যম ও পুলিশের কিছু ত্রুটির বিষয় উঠে আসে। সেসব বিষয়ে সতর্ক থেকে পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়।
কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শবনম আযীম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তাতে জঙ্গিবাদ-সংশ্লিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে তথ্য সরবরাহে করণীয় কিছু বিষয়ও উঠে এসেছে।
প্রথম পর্বের আলোচলায় স্বাগত বক্তব্য দেন এটিইউর অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস) মনিরুজ্জামান।
কর্মশালায় অংশ নেয়া সাংবাদিকদের একাংশ। ছবি: নিউজবাংলা
মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে এটিইউর প্রধান অ্যাডিশনাল আইজিপি এস এম রুহুল আমিন বলেন, ‘শর্তসাপেক্ষে আমরা আপনাদের (সাংবাদিক) তথ্য দিতে বাধ্য। কিন্তু আপনাদেরকেও তথ্য অধিকার আইনের শর্তগুলো মাথায় রাখতে হবে।
‘আমরা সবাই এ দেশের নাগরিক। আমরা দেশের মঙ্গল চাবো, দেশপ্রেম নিয়ে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করবো। কোন সংবাদ পরিবেশন করলে সার্বিকভাবে সমাজের জন্য ক্ষতিকর হবে, কোন সংবাদটি কোনভাবে পরিবেশন করলে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে- জনকল্যাণে এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে সংবাদ পরিবেশন করলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
কর্মশালার দ্বিতীয় সেশনে প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ, একাডেমিশিয়ানের পাশাপাশি তিনজন সিনিয়র সাংবাদিক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। প্রথম আলো’র হেড অফ রিপোর্টিং টিপু সুলতান, দ্য ডেইলি স্টার-এর সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট জামিল খান এবং দৈনিক সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি সাহাদাত হোসেন পরশ জঙ্গিবাদ বিষয়ক রিপোর্টিংয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। কর্মশালায় অংশ নেয়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্যানেল আলোচকরা।