সেন্ট্রাল হসপিটালে অস্ত্রোপচারের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ প্রসূতি মাহবুবা রহমান আঁখির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী মোখলেছুর রহমান।
সোমবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে মা ও শিশুর ময়নাতদন্তের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ডা. কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে আঁখির। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মৃতদেহ থেকে হার্ড ব্লাড ও কিডনিসহ বিভিন্ন অর্গান রাখা হয়েছে। সেগুলোর রিপোর্ট আসলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।’
আঁখির ভাই সাখাওয়াত হোসেন শামীম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। কুমিল্লার লাকসামে আঁখির বাবার বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের মরদেহ দাফন করা হবে।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার বোন-ভাগ্নেকে যারা এভাবে হত্যা করেছে আমরা তাদের শাস্তি দাবি করি।’
গত ১১ জুন সেন্ট্রাল হসপিটালে অস্ত্রোপচারে আঁখির নবজাতকের মৃত্যু হয়। স্বজনদের ভাষ্য, অন্তঃসত্ত্বা আঁখিকে গত ৯ জুন কুমিল্লার তিতাস উপজেলা থেকে এনে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি ভর্তি হয়েছিলেন চিকিৎসক সংযুক্তা সাহার অধীনে, কিন্তু চিকিৎসক সংযুক্তা তখন দেশের বাইরে ছিলেন। বিষয়টি রোগী বা স্বজনদের জানানো হয়নি। অন্য চিকিৎসকরা আঁখির স্বাভাবিক প্রসব করাতে ব্যর্থ হয়ে অস্ত্রোপচার করেন। ওই সময় নবজাতকের মৃত্যু হয়। সংকটাপন্ন হয়ে পড়েন আঁখিও।
এদিকে চিকিৎসায় অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু ও মায়ের জীবন মৃত্যুঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগে সেন্ট্রাল হাসপাতালে সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসক গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সংযুক্তা সাহা কোনো ধরনের চিকিৎসা কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে পারবেন না বলে জানায় অধিদপ্তর।