বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তাইওয়ান ইস্যুতে ‘এক চীন নীতিতে’ বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৯ জুন, ২০২৩ ১৯:৪০

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘তাইওয়ান প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের এক চীন নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না।’ তবে তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের ‘উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের’ বিরুদ্ধে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন তিনি।

তাইওয়ান ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এক চীন নীতিকে সমর্থন করে তিনি বলেছেন, সেই নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না।

সোমবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ কথা বলেন।

এসময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বাণিজ্য প্রতিযোগিতা, চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ একাধিক ইস্যুতে কথা বলেন তিনি।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ব্লিঙ্কেনের এই সফরটি ফেব্রুয়ারি মাসে হবার কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে সন্দেহজনক চীনা গুপ্তচর বেলুন গুলি করে ধ্বংস করার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরটি সেসময় স্থগিত করা হয়।

এ ছাড়াও, বাণিজ্যবিষয়ক সংঘাত, মানবাধিকার ও তাইওয়ান ইস্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা- এমন অনেকগুলো কারণে বেশ কিছুকাল ধরে মধ্যে চীন-মার্কিন সম্পর্কের অব্যাহত অবনতি হচ্ছিল।

এ প্রেক্ষাপটগুলোর আলোকে ব্লিঙ্কেনের এ সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছিল। সারা বিশ্বের নজর ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের এই বৈঠকের দিকে।

তবে এ বিষয়ে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই বলেছেন, চীন-মার্কিন সম্পর্ক খারাপ হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে তার দেশ সম্পর্কে আমেরিকার ভুল ধারণা।

ব্লিঙ্কেনও বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘সম্পর্কে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছিল। তবে এ সফরের ফলে দুই দেশের যোগাযোগ জোরদার হবে।’

এর আগে ওয়াং ই’র সঙ্গে বৈঠকে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘তাইওয়ান প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের এক চীন নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না।’

তবে তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের ‘উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের’ বিরুদ্ধে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন তিনি। বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি-র সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়টি তুলেছি। জিনজিয়াং, তিব্বত ও হংকংয়ে চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।’

‘চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ককে স্থিতিশীল রাখা প্রয়োজন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতা সংঘাতে পরিণত হোক এটা কাম্য নয়।’

এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক বিবৃতিতে তাইওয়ান নিয়ে ‘সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই’ বলে জানানো হয়।

এসময় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়াকে কোনো প্রাণঘাতী সহায়তা দেবে না বলে চীন অঙ্গীকার করেছে বলে জানান ব্লিঙ্কেন। বলেন, ‘চীনের এ অঙ্গীকারের কথা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, অন্যান্য দেশকেও বার বার জানানো হয়েছে।’

তবে চীনের কিছু প্রাইভেট কোম্পানির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিঙ্কেন বলেন, ‘তারা রাশিয়াকে কিছু সহায়তা দিয়ে চলেছে যার উদ্দেশ্য স্পষ্টতই ইউক্রেনে রুশ সামরিক সক্ষমতা বাড়ানো।’

বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে ওয়াং ই চীনের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান জানান। সেসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যাতে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ওপর দমন চেষ্টা বন্ধ করে এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে, সে আহ্বান জানান তিনি।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের অবাধ চ্যানেল চালুর মাধ্যমে দায়িত্বশীল প্রতিযোগিতা বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।’ প্রতিযোগিতা যাতে সংঘাতে পরিণত না হয়, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের খেয়াল আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চীনকে অর্থনৈতিকভাবে বোতলবন্দী করতে চাইছে না। এমন কিছু করা মার্কিন স্বার্থের অনুকুল নয়। চীনের অর্থনৈতিক সাফল্য যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও লাভজনক।

‘কিন্তু আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য বিশেষ কিছু প্রযুক্তিকে অবশ্যই আগলে রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং একে স্থিতিশীল রাখা দুই দেশেরই দায়িত্ব।’

এর আগে এক বিবৃতিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি বলেন, ‘চীনা পক্ষের সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের খোলামেলা এবং বিস্তুারিত আলোচনা হয়েছে। আমি আশা করি, এ সফরের মধ্যে দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারবেন।’

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, আগামীতে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন এবং দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ আরও বাড়ানো হবে।

এ বিভাগের আরো খবর